সিঙ্গুর: মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই তৃতীয় ও চতুর্থ দফার মোট ৬৩টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঘোষণা না হলেও আংশিক এই প্রার্থী তালিকা থেকেই জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে অসন্তোষ। অনেক কেন্দ্রেই দলের ঘোষিত প্রার্থীকে মানতে নারাজ স্থানীয় নেতা কর্মীরা। এদিন তেমনই এক অভিযোগে নজিরবিহীন বিক্ষোভের সাক্ষী থাকল সিঙ্গুর।
সিঙ্গুর থেকে এবার গেরুয়া টিকিট পেয়েছেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপির হয়ে কাজ করার পরে এই ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে কিছুতেই মানতে পারছেন না সিঙ্গুরের বিজেপি সমর্থকরা। তার জেরেই আজ মধ্যপ্রদেশের দুই মন্ত্রীকে আটকে রেখে নজিরবিহীন বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তারা। দাবি একটাই, অবিলম্বে প্রার্থী বদল করতে হবে সিঙ্গুরের।
বস্তুত, নন্দীগ্রামের মতো সিঙ্গুরের রাজনৈতিক তাৎপর্যও বহুচর্চিত। এহেন গুরুত্বপূর্ণ আসনে তৃণমূল ত্যাগী বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উপর আস্থা রেখেছে বিজেপি। কিন্তু এই দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে সামিল হন গেরুয়া নেতা কর্মীরা। দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে প্রায় চার ঘন্টার বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালান তাঁরা। জানা গেছে,মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে আটকে রেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। স্থানীয় নেতা কর্মীদের এই অসন্তোষে যে রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়েছে গেরুয়া শিবির তা বলাই বাহুল্য।
মূলত তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া প্রার্থী টিকিট পাওয়াতেই এই অসন্তোষ,মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, দলের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেই এই ক্ষোভ প্রশমন করা হবে। উল্লেখ্য, এদিন বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই দল ছেড়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পূর্ব বেহালা থেকে এবার তাঁর বদলে প্রার্থী হয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার।