নিউ ইয়র্ক: গোটা বিশ্বকে চমক দিয়ে চলতি সপ্তাহে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি জানায় রাশিয়া৷ কিন্তু রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’-র গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ তাদের দাবি, বিশ্বের যে ন’টি ভ্যাকসিনের অ্যাডভান্স স্টেজে পরীক্ষা চলছিল তার মধ্যে নেই রাশিয়ার অনুমোদিত এই ভ্যাকসিন৷
আরও পড়ুন- পরীক্ষিত নয় করোনার প্রতিষেধক! স্বাস্থ্য মন্ত্রক ত্যাগ করলেন রাশিয়ার চিকিৎসক
বিশ্বের প্রতিটি দেশকে উৎসাহিত করতে হু এবং তাঁর সহযোগীরা ন’টি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনকে একটি বিনিয়োগ ব্যবস্থার মধ্যে সামিল করেছিল৷ যা কোভ্যাক্স হিসাবে পরিচিত৷ এই উদ্যোগের ফলে দেশগুলি আগাম প্রবেশ পেতে প্রাথমিকভাবে একাধিক ভ্যাকসিন তৈরিতে বিনিয়োগ করে৷ তাত্ত্বিকভাবে এটি উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য তহবিল সরবরাব করে৷ রাশিয়ার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে হু’র ডিরেক্টর জেনারেলের বর্ষীয়ান উপদেষ্টা ব্রুস আইলওয়ার্ড বলেন, ‘‘রাশিয়ার ভ্যাকসিন সম্পর্কে রায় দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ভ্যাকসিনের স্ট্যাটাস বোঝার জন্য এই বিষয়ে বাড়তি তথ্য পেতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি আমরা৷ ভ্যাকসিনের যে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে৷’’
আরও পড়ুন- আছে জল, মিলতে পারে প্রাণের সন্ধান! গবেষকদের নজরে ‘বিকল্প পৃথিবী’!
চলতি সপ্তাহে টেলি-কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেছে রাশিয়া। সরকারি ভাবে তার প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছে পুতিনের এক মেয়ের শরীরে। প্রথম উৎক্ষেপিত কৃত্রিম উপগ্রহের নামেই ভ্যাকসিনের নাম রাখা হয়েছে স্পুটনিক ভি। তবে রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে হু-র৷ এই নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে 'হু'। আর এই আলোচনাকে কেন্দ্র করেই সরগরম হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহল। জেনেভায় সংবাদিক সম্মেলন করে হু-র মুখপাত্র তারিক জাসারেভি বলেন, রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভ্যাকসিনের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হু নিশ্চিত হতে চায় স্পুটনিক ভি মানুষের শরীরের জন্য কতটা নিরাপদ৷
আরও পড়ুন- মায়ের ছক ভাঙা লড়াই আজ মেয়ে কমলাকে এগিয়ে দিল মার্কিন নির্বাচনে!
যদিও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিনটি কার্যকরী এবং মানবদেহে দীর্ঘস্থায়ী রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম। তাঁর আশ্বাস, প্রয়োজনীয় সমস্ত পরীক্ষা শেষ করেই ভ্যাকসিনটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে রাশিয়া।