বলরামপুর: ভোটের আগে জোড় কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি’র তরকাদের প্রচার৷ দু’দিন আগেই বাংলায় এসেছিলেন অমিত শাহ৷ মঙ্গলবার বলরামপুরে সভা করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ সভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতেই তৃণমূল কংগ্রসকে নিশানা করলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘পার্টি অফিসের চেয়ার ভাঙলে পুলিশের মাথা ভেঙে দেব’, অনুব্রতর সুরে হুমকি কাজলের
এদিন আদিত্যনাথ বলেন, এরাজ্যে অরজকতা আর তাণ্ডব চলছে৷ গত চার বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি৷ সেখানে ৪০ লক্ষ মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছে৷ ১ কোটি ৩৮ লক্ষ পরিবার বিদ্যুৎ পরিষেবা পেয়েছে, ১ কোটি ৫৬ লক্ষ পরিবার রান্নার গ্যাস পয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ৬ কোটি মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পে বছরে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ পেয়েছেন৷ উত্তরপ্রদেশের ২ কোটি ৪২ লক্ষ কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা পেয়েছেন৷ উত্তরপ্রদেশের মতো এত বড় রাজ্যে যদি এত সুবিধা পাওয়া যায়, তাহলে বাংলা কেন পাবে না?
রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করে আদিত্যনাথ বলেন, তৃণমূল সরকার বাংলার বিকাশের পথে বাধা দিচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সমস্ত সুবিধা থেকে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে৷ এর জেরেই বিকাশের পথ থেকে ক্রমশ ছিটকে যাচ্ছে বাংলা৷ উল্টে বাড়ছে দারিদ্রতা, বেকারত্ব৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার আহ্বানে বিজেপি’র প্রত্যেক নেতা কর্মী বাংলার নাগরিকদের ন্যায় দেওয়ার জন্য নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে৷ বাংলাকে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের গুন্ডাগিরি থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন৷
তাঁর কথায়, গত ১০ বছর ধরে তৃণমূল সরকার এখানে গরু পাচার করছে৷ বাংলাদেশে গরু চালান করে দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে আমরা গরু পাচারও করতে দিই না, কাটতেও দিই না৷ কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের এক নেতাকে গোহত্যার পক্ষে সওয়াল করতে শুনেছিলাম৷ জানিনা কেন মমতা দিদি ওঁনাকে মন্ত্রীসভার সদস্য করে রেখেছেন৷ ওঁনাকে সেই দিনই বার করে দেওয়া উচিত ছিল৷
আরও পড়ুন- হাইপ্রোফাইল ডেবরায় মুখোমুখি প্রাক্তন দুই IPS, জানেন হুমায়ুন কবীরের সম্পত্তি কত?
আদিত্যনাথ বলেন, এ রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটছে৷ যার জেরেই এখানকার মানুষের রেশন অনুপ্রবেশকারীদের কাছে চলে যাচ্ছে৷ এখানকার গরিবরা বঞ্চিত তিনি বলেন, বানেশ্বর মেহতাকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন৷ এখানে উন্নয়ন হবেই৷