‘বিজেপিকে ১০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতির আঙিনায় পা দেব না’: অভিষেক

‘বিজেপিকে ১০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতির আঙিনায় পা দেব না’: অভিষেক

রঘুনাথপুর: পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থেকে বিজেপি’কে দশ গোল দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায়৷ তুলোধোনা করলেন জঙ্গলমহলের চার সাংসদের৷ বুঝিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যসাথী আর আয়ুষ্মান ভারতের ফারাক৷ 

আরও পড়ুন-  আঘাত আমার কাছে হেরে যাবে, আমি আঘাতের কাছে হারব না: মমতা

অভিষেক বলেন, জঙ্গলমহল থেকে চার জন বিজেপি সাংসদকে নির্বাচিত করেছিল এখানকার মানুষ৷ কিন্ত করোনা থেকে আম্পান, লকডাউন কোনও সংকটে এই চার সাংসদের টিকি পাওয়া যায়নি৷ কিন্তু মানুষের পাশে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু কোনও কাজই তাঁরা করেনি৷ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা পৌঁছে দেবেন৷ সেই টাকা কেউ পায়নি৷ বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ তাও পূরণ করা হয়নি৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, গতিধারা শুরু করেছেন৷ বিনা পয়সায় খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা দিয়েছেন৷ অভিষেক বলেন, ‘‘লড়াই হলে তথ্য পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে হোক৷ ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করেছে আর ৭ বছরে নরেন্দ্র মোদী কী করেছেন, দেখা যাক৷ ১০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতির আঙিনায় পা দেব না৷’’ 

তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, বিজেপি বলছে সোনার বাংলা গড়বে৷ তাহলে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সোনার ঝাড়খণ্ড হয়নি কেন? সোনার উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, অসম হয়নি কেন? সোনার ভারত হয়নি কেন? দিলীর ঘোষ গরুর দুধ থেকে সোনা বার করবে আর সেই সোনা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ সোনার বাংলা তৈরি করবে৷ তাঁৎ কথায়, মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে একবার বোকা বানানো যায়, বারবার নয়৷ কুর্মী, সমাজ, বাউড়ি সমাজের হয়ে এখানকার সাংসদরা কোনও দিনও সরব হয়নি৷ আমরা তাঁদের সম্মান করেছি৷ 

আরও পড়ুন- কলকাতায় বসে চক্রান্ত করছেন অমিত শাহ! কী নিয়ে অভিযোগ মমতার

কটাক্ষ করে অভিষেক আরও বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে ভাওতাবাজি বলছে৷ অথচ এদের এমন দুর্দশা, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দিলীপ ঘোষের বাড়ির সদস্যরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ৷’’ তিনি বলেন, মোদী এবং অমিত শাহ যে আয়ুষ্মান ভারতের কথা বলছেন, সেখানে আপনার হাতে স্মার্টফোন থাকলে, বাড়িতে স্কুটার থাকলে বা টিভি, ফ্রিজ, মাথার উপর পাকা বাড়ি থাকলে পাবেন না৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী সবাই পাবেন৷ এবার আপনাদেরই ছিক করতে হবে, স্বাস্থ্যসাথী নেবেন না আয়ুষ্মান ভারত৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 10 =