কলকাতা: “ছোটো ঘটনা, মিটে যাবে”, প্রার্থী তালিকা নিয়ে গেরুয়া সমর্থকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সম্বন্ধে দুদিন আগে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু দিন যত এগোচ্ছে, ঘটনা মিটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা তো যাচ্ছেই না, বরং ছোট এই ঘটনা বাড়িয়ে চলেছে পরিসর। গত দুদিন ধরে কলকাতায় রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের সামনে যেভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দলেরই সমর্থকরা তাতে গেরুয়া নেতৃত্ব যে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না।
দলীয় কর্মীদের এই ক্ষোভ প্রসঙ্গে এদিন গেরুয়া মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দলের কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। “সমাজের সর্বস্তরের মানুষকেই জায়গা দেওয়া হয়েছে বিজেপির প্রার্থী তালিকায়। কিন্তু জেলা স্তরে নানা জায়গায় কর্মীদের কারোর কারোর মনে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল।স্বাভাবিকভাবেই তা পূরণ না হওয়ায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।” বিজেপির মতো দলের পক্ষে এমন ঘটনা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়, জানিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। সেই সঙ্গে কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যা মিটে যাওয়ার আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর সাফ বার্তা, “এভাবে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রার্থী পরিবর্তন করা যায় না।”
বস্তুত, প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দুদিন আগে পরবর্তী দুই দফার ৬৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। প্রার্থী তালিকা সামনে আসার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বলে উঠেছে বিক্ষোভের আগুন। গেরুয়া কর্মীদের অভিযোগ তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন যাঁরা ভোটের টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁদেরকেই। স্বাভাবিক ভাবেই এযাবৎ যাঁদের বিরোধিতা করে এসেছিলেন, এখন তাঁদের হয়ে প্রচার চালাতে নারাজ কর্মীরা। অবিলম্বে প্রার্থী বদল করে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপির এহেন গৃহযুদ্ধকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। এদিন ঘাসফুল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “বিজেপির কোনো সাংগঠনিক পরিকাঠামো ছিল না। অনেক লোক সম্প্রতি টাকা পাওয়ার আশায় সেই দলে যোগ দিয়েছেন। টিকিট প্রত্যাশী তৈরি হয়েছিল। ফলে যা ঘটছে তা খুবই স্বাভাবিক।” ভোটে লড়ার জন্য বিজেপির যোগ্য প্রার্থী নেই বলেও দাবি করেছেন সৌগত রায়।