সিডনি: চিনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক বন্ধুর অস্ট্রেলিয়া এবার যুদ্ধংদেহী হয়ে উঠেছে৷ চিনের চোখ রাঙানি এড়িয়ে এবার যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া৷ সামরিক বাহিনীকেও নতুনভাবে সাজাচ্ছে অস্ট্রেলিয় সেনা৷ ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আগামী ১০ বছরের ৪০ শতাংশ বাজেট বাড়ানোর ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার৷ লক্ষ্যে, চিনের চোখ রাঙানি ঠেকানো৷ চিনকে রুখতে ইতিমধ্যেই ২৭ হাজার কোটি ডলারে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে সুপারসনিক আগ্নেয়াস্ত্র, অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও বিমান কেনার বায়না দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া৷
প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতা বিস্তারে আমেরিকা ও চিনের প্রতিযোগিতা বিপদ হিসেবে দেখতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া৷ ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং ভাষণ দিলেও পরিস্থিতি এখন বদলে গিয়েছে৷ একদিকে প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতা বিস্তার, অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া থেকে রপ্তানি করা পণ্যের উপর ৮০% পর্যন্ত চিন কর চাপানোয় সংঘাত আরও বেড়েছে৷ অস্ট্রেলিয়া থেকে মাংস আমদানির উপরও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷ চিনা পর্যটকদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণেও সতর্কতা জারি করা হয়৷ মাদক পাচারের দায়ে চিন অস্ট্রেলীয় নাগরিককে ফাঁসির রায় শোনানোকে কেন্দ্র করে সংঘাত আরও চরমে উঠেছে৷ দুই দেশের সম্পর্ক অবনতি ঘটতে থাকে দ্রুত৷
অন্যদিকে প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন রুখতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া৷ চিনকে রুখতে প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া৷ নতুন প্রতিরক্ষা কৌশল গ্রহণ করে নিজেদের আত্মরক্ষার পথও বেছে নিয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকার৷