বিশ্বের দ্বিতীয় করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়ার পথে চিন

রাশিয়ার পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চিন করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ক্যানসিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যালের সঙ্গে সিনোফার্মের চিনে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করার বিষয়ে জোর টক্কর চলছে। দুইটি সংস্থার টিকার তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়াল চলছে। দুটি ভ্যাকসিনের প্রথম দুটো পর্যায়ে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে চিন ক্যানসিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যাল নামের সংস্থাটিকে ভ্যাকসিনের সত্ত্ব দিল বলে জানা গিয়েছে।

 

বেজিং: রাশিয়ার পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চিন করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ক্যানসিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যালের সঙ্গে সিনোফার্ম করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করার বিষয়ে জোর টক্কর চালিয়ে যাচ্ছে। দুইটি সংস্থার টিকার তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়াল চলছে। দুটি ভ্যাকসিনের প্রথম দুটো পর্যায়ে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে চিন ক্যানসিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যাল নামের সংস্থাটিকে ভ্যাকসিনের সত্ত্ব নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- এবার চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ঘুম ছুটেছে বেজিংয়ের

ক্যানসিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যালের ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করতে শুরু করেছে চিনের বিজ্ঞানীরা। চিনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চেন ওয়েইয়ের মতে, তিনটি পর্যাতে এই ভ্যাকসিন ভালো কাজ করেছে। তাঁদের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টবডি তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে যাদের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল, সেখানে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, টি কোষগুলোকে সক্রিয় করতে সহযোগিতা করছে৷

অক্সফোর্ডের মতো এই চিনা সংস্থা  করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ভেক্টর ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে এই ভ্যাকসিনের। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিনে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবে তৃতীয় পর্যায়ে কয়েক হাজার জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করোনা হয়েছে। ব্রাজিল ও রাশিয়াতে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- কমলার থেকে আমাকে বেশি ভালোবাসেন ভারতীয়রা, খোঁচা ট্রাম্পের

অন্য দিকে, চিনে করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুতের দিক থেকে পিছিয়ে নেই সিনোফার্ম। আমেরিকার একটি জার্নালে সিনোফার্ম প্রথম দুটো পর্যায়ে এই ভ্যাকসিন কেমন কাজ করেছিল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চিন সরকার প্রকাশ্যে এনেছে।  রিপোর্টে সিনোফার্ম জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ৯৬ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২২৪ জনের শরীরে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ের থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ডোজ একটু বাড়ানো হয়েছিল। এরপর প্রত্যেকের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সকলের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

পাশাপাশি টি কোষও সক্রিয় হয়েছে। যার ফলে শরীরে ভাইরাকে ঢোকাতে বাধা দিচ্ছে  দেহের মধ্যে তৈরি সুরক্ষা বলয়।  সিনোফার্মের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও ভ্যাকসিন তৈরি সময় একটাই লক্ষ্য থাকে, বি কোষ ও টি কোষকে অ্যাকটিভ করা।  যাতে সুরক্ষা  বলয় তৈরি করতে পারে।  রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সিনোফার্মের  ভ্যাকসিনে বি কোষ অ্যাকটিভ হয়ে সুরক্ষা বলয় গঠন করছে। তৃতীয় পর্যায়ে সৌগি আরবে কয়েক হাজার মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + seventeen =