নয়াদিল্লি: ফের বাড়ছে করোনা আতঙ্ক৷ দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৯৫৩ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ১৮৮ জনের৷ অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়িয়ে কমছে সুস্থতার হার৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ হাজার ৬৫৩ জন৷
আরও পড়ুন- সংরক্ষণ আর কত প্রজন্ম চলবে? বড়সড় প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট
বিশেষজ্ঞরা আগেই হুঁশিয়ার করেছিল৷ সেই মতো গ্রীষ্মের শুরুতেই ভারতে আছড়ে পড়ল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ৷ করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বাজারে ভ্যাকসিন এসে গিয়েছে৷ ভ্যাকসিনের দাপটে কিছুটা বাগে এসেছিল করোনা৷ কিন্তু ফের তা নতুন শক্তি নিয়ে বাড়তে শুরু করেছে৷ তদুপরী এখনও অধিকাংশ মানুষের কাছেই ভ্যাকসিন পৌঁছয়নি৷ ফলে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের৷ শুক্রবারও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ছুঁই ছুঁই৷ শনিবার টপকে গেল ৪০ হাজারের সেই গন্ডি৷ আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ৪১ হাজারের দোরগোড়ায়৷ বর্তমানে দেশে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৯৪৷ করোনার বিষে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৫৮ জন রোগী৷ করোনার টিকা পেয়েছেন ৪ কোটি ২০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৯২ জন মানুষ৷
আরও পড়ুন- লঙ্কায় দেবী সীতার বন্দিস্থল ‘অশোক বটিকা’ থেকে আসছে রাম মন্দির নির্মাণের পাথর
সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে মহারাষ্ট্রে৷ এর পরেই রয়েছে কেরল৷ মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই কয়েকটি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে৷ ২১ তারিখ পর্যন্ত নাগপুরে লকডাউন থাকবে৷ আবার বেশ কয়েকটি রাজ্যে জারি করা হয়েছে নাইট কারফিউ৷ করোনা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বঙ্গেও৷ বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের কাউন্টডাউন৷ এর মধ্যে কতটা করোনা বিধি মানা হচ্ছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বার্তা, বিধি মানলে লকডাউন এড়ানো সম্ভব হবে৷ সচেতনতা বাড়তে একগুচ্ছ কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে৷ মাস্ক পরার উপর অধিক জোড় দেওয়া হয়েছে৷ শুক্রবার কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫০ জন৷ কিছু দিন আগেও শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০-এর থেকেও কম৷