কলকাতা: নির্বাচনের চূড়ান্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে ফের বঙ্গ সফরে আসছ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি ও সব নোডাল আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলে খবর৷ ওই বৈঠকের আগে ভোটের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মী আধিকারিকদের ভূমিকা কি হবে তা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷
নিজেদের দায়িত্ব এবং ভূমিকা সম্পর্কে ওই সমস্ত কর্মীদের মনে যাতে কোন ধোঁয়াশা না থাকে সে জন্য এবার বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনের আগে আগামী সপ্তাহ থেকেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ ভোটের কাজে যুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের পাশাপাশি রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের কর্মীদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ৷
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭৭৪ কম্পানি অর্থাৎ ৭৩ হাজার আধা সেনার পাশাপাশি প্রথম দফায় প্রায় ১২ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকেন নির্বাচনের দায়িত্বে। প্রথম দফার ভোটে ১১ হাজার ৮১৫ রাজ্য পুলিশ থাকবে। তার মধ্যে ৮ হাজার ৯২৬ লাঠিধারী পুলিশ, ৫৪০ সশস্ত্র পুলিশ, ১১২ ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী, ১ হাজার ৪৭০ এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ, ৩৬৭ জন মহিলা কনস্টেবল৷
কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন পুলিশ পর্যবেক্ষক। সেই প্রশিক্ষন পর্বে বিশেষ ক্লাসে খাতায় কলমে তাঁদের বোঝানো হবে নির্বাচনের দিনে কোন পরিস্থিতিতে কী ভূমিকা তাঁদের থাকবে। এই শিবির হবে ডিভিশন ভাগ করে। থানার ওসি এবং আইসি থেকে শুরু করে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের পদমর্যাদা অনুযায়ী এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সোমবার ২২ মার্চ থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণ৷
নির্বাচনের চূড়ান্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি ও সব নোডাল আধিকারিকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে বেঞ্চ রাজ্যে আসছে। এই জন্য সোমবার বিকালেই কমিশন নিযুক্ত চার পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক, বিবেক দুবে, অনিল শর্মা এবং বি মুরলিকুমার শিলিগুড়িতে পৌঁছবেন। সুদীপ জৈনও ওই দিন উত্তরবঙ্গে পৌঁছনোর কথা৷