বাঁকুড়া: বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। আর মাত্র ৬ দিন পরেই বাংলায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রথম দফার নির্বাচন। সেই আবহেই এদিন ফের রাজ্যে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বাঁকুড়ার দলীয় জনসভা থেকে এক হাত নিয়েছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে।
“আপনি চাইলে আমাকে লাথি মারতে পারেন, কিন্তু বাংলার উন্নয়নকে লাথি মারতে আমি দেব না”, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে এদিন এমনটাই মন্তব্য করেন গেরুয়া নেতা নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট পাওয়া পা আর হুইলচেয়ারে জেলা সফরকেই যে তিনি এভাবে কটাক্ষ করেছেন তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। এদিন তিনি বলেন, “দিদি, আপনি চাইলে আপনার পা আমার মাথায় রাখতে পারেন, আমাকে লাথিও মারতে পারেন। কিন্তু আমার একথাও কান খুলে শুনে রাখুন, বাংলার বিকাশকে আমি লাথি মারতে দেব না। বাংলার মানুষের স্বপ্নকে লাথি মারতে দেব না। আমার গরীব ভাইবোন,আদিবাসী মা বোনকে লাথি মারতে দেব না।” নরেন্দ্র মোদীর এহেন মন্তব্য রাজ্যের ভোট পূর্ববর্তী আবহকে আরো উত্তপ্ত করে দিয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।
এদিন সভা মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী তৃণমূল সুপ্রিমোকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, “আপনি ভাবছেন আপনি কাজ করতে থাকবেন, আর আপনাকে কেউ প্রশ্ন করবে না? কিন্তু আজ পুরো বাংলা আপনাকে প্রশ্ন করছে।” কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কোটি কোটি টাকা এ রাজ্যে পাঠানো হলেও রাজ্য সরকারের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
উল্লেখ্য, এদিন বাঁকুড়ায় মোদীর সভার পাশাপাশি মেদিনীপুরে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখান থেকে যথারীতি তিনি গেরুয়া নেতাদের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানান। অমিত শাহের উপস্থিতি আজ বিজেপিতে যোগ দেন কাঁথির বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীও। ভোটের আগে দুই দলপ্রধানের এই বাকযুদ্ধ রীতিমতো উত্তপ্ত করে তুলেছে আবহ।