ভোটের মুখে বিস্ফোরণে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট চাইল কমিশন, পাশে থাকার বার্তা মমতার

ভোটের মুখে বিস্ফোরণে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট চাইল কমিশন, পাশে থাকার বার্তা মমতার

কলকাতা:  বর্ধমানে বোমা ফেটে মৃত্যু হল এক শিশুর৷ জখম হয়েছে আরও একটি শিশু৷ পুলিশের দাবি, বল ভেবে খেতলে গিয়েই বোমা ফেটে মৃত্যু  হয় ৭ বছরের শিশুটির৷ ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের রসিকপুরে৷ 

আরও পড়ুন-  বর্ণাঢ্য রোড শো করে মনোনয়ন দিলেন পায়েল, তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বাবুল

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ রাস্তার উপর দুটি শিশু খেলা করছিল৷ সেই সময়েই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে৷ রক্তাক্ত অবস্থায়  শিশু দুটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৭ বছরের শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ তবে বোমার আঘাতে গুরুতর আঘাতে জখম বছর ছয়ে’র আরও একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে৷ ভোটের আগে এই বিস্ফোরণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে৷ কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন৷ যেখানেই এই ধরনের ঘটনা ঘটুক না কেন, অবিলম্বে সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানোর কথা বলেছে কমিশন৷

এদিকে বিস্ফোরণের পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায়৷ অকুস্থল থেকে দুটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে৷ ব্যাগ দুটিও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ৷ কী ভাবে রাস্তার উপর বোমা এল, কেনই বা এই বোমা রাখা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷   

এই ঘটনা প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,  বোমা বন্দুকের ঘটনা আজকের নয়৷ ১০ বছর আগেও ছিল৷ ক্ষমতায় আসার সময় বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলেছিল তৃণমূল৷ কিন্তু এর পরেও সমাজ থেকে বোমা-বন্দুক যায়নি৷ বরং বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে৷ রাজ্যে বোমা-বন্দুককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্রয় দিয়েছেন৷ এবং বোমা বন্দুক দিয়ে খেলা হবে, সেই জায়গায় নিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে৷ আজ একটা শিশুর প্রাণ গিয়েছে৷ এর দায়িত্ব নিতে হবে দশ বছর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশমন্ত্রীকে৷

আরও পড়ুন- পিএম কেয়ার্সের টাকার হিসেব থেকে সম্পত্তি বিক্রি, মোদীর থেকে জবাব চাইলেন মমতা

অন্যদিকে এই ঘনার পরেই বাঁকুড়ার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বল ভেবে খেলতে গিয়ে আজ বোমার আঘাতে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ আমি এখানে কাজ করলেও, অবিলম্বে তাদের পরিবারের খোঁজ নিতে বলেছি৷ আমি ওই শিশুটির পরিবারের পাশে আছি৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *