কেটে গিয়ে ধসে গেছে গোড়ালি, ছিঁড়েছে শিরাও! জানালেন আহত মমতা

এদিন বাঁকুড়ার জনসভা থেকে পায়ের চোটের ব্যাখ্যা দেন তৃণমূল নেত্রী

বাঁকুড়া: নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেই বাঁ পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে সেই ঘটনার পর বঙ্গ রাজনীতির মঞ্চ দিয়ে গড়িয়ে গেছে অনেক জল। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে হুইলচেয়ারেই জেলা সফর শুরু করেছেন ঘাসফুল নেত্রী। তাঁর পায়ের চোট যে কতটা গুরুতর, এদিন বাঁকুড়ার সভা মঞ্চ থেকে আরো একবার সেকথাই শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর পায়ের গোড়ালি ঘষে গিয়ে ধসে গেছে, এমনকি ছিঁড়ে গেছে শিরাও, দলীয় সভা থেকে এদিন এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “গোড়ালির কাছে যে অ্যাঙ্কেলটা আছে, সেটা পুরো ঘষে গিয়ে ধসে গেছে। উপরটা এমন ভাবে কেটে গেছে যে শিরাগুলো পর্যন্ত ছিঁড়ে গেছে।” ডাক্তাররা টানা ১৫ দিন বিছানায় শুয়ে থাকার পরামর্শ দিলেও ভোটের আগে তা মেনে চলা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না বলেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি আরো বলেন, “আমাকে আগেও অনেকবার মেরেছে। কিন্তু এবারে আমার পা টা এভাবে চোট পেয়ে যাবে আমি বুঝতে পারিনি। আমার আর উপায় নেই।”

বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় এদিন দলের আয়োজিত জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ের চিকিৎসা সম্বন্ধে জনগণকে তিনি আরো জানান, হাসপাতালে ডাক্তাররা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন ভোট আগে না জীবন আগে? তখন তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, “ভোট দিলে মা বোনেদের আশীর্বাদে আমার জীবন এমনিতেই ঠিক থাকবে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোটের ঘটনার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় তোলপাড়। নেত্রী নিজেই দাবি করেছিলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভিড়ের মধ্যে তাঁকে ধাক্কা মারা হয়েছে। সেই দাবির ভিত্তিতে প্রতিবাদে সোচ্চার হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও। বিরোধীরা আবার পাল্টা ভোটের আগে সমবেদনা আদায়ের জন্য নাটকের অভিযোগ আনেন। ফলে গোড়ালির চোটকে ঘিরে শুরু হয় জোর দ্বন্দ্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 3 =