কলকাতা: উপযুক্ত পোলিং এজেন্ট পেতে সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু প্রার্থীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এদের নিয়োগের নিয়ম কানুন কিছুটা শিথিল করেছে। এখন থেকে কোন বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোন ভোট দাতা শর্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত কোনও বুথে পোলিং এজেন্ট হিসাবে সেই বুথের অথবা পার্শ্ববর্তী বুথের ভোটদাতাদেরই পোলিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা যেত। প্রতি বুথে নির্বাচনে অংগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসাবে একজন পোলিং এজেন্ট এবং তার রিলিভার হিসাবে আরও দুজনকে নিয়োগ করা যেত। সম্প্রতি এক নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উপযুক্ত পোলিং এজেন্ট না পেলে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোন ভোটদাতাকেই রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করতে পারবে।
এর আগে অনেকবার এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল কোন বুথে প্রার্থীর এজেন্ট দিতে পারছে না। অথবা অনেক সময় কেউ রাজনৈতিক হিংসার কারণে প্রার্থীর এজেন্ট হতে চান না বা ভয় পান। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কারণ নির্দিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার হলেই এজেন্ট হওয়া যাবে তাই নির্দিষ্ট এলাকা বা বুথের ভোটারের খোঁজ করতে হবে না। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য একাধিক নিয়ম এবারে যেমন শিথিল করেছে নির্বাচন কমিশন, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম লাগু করা হয়েছে। যেমন বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক কেন্দ্রের বুথ যেন একতলায় হয়। এছাড়াও ভোট দানের সময়ের বৃদ্ধি ঘটনা হয়েছে। যদিও এই সময় বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে একাংশে।
আরও পড়ুন- টিকিটের খোঁজে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে ‘বঞ্চিত’ হলেন যারা!
এদিকে, রাজ্যে নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরার নেতৃত্বে বেঞ্চ ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পরে তারা উত্তরবঙ্গের আট জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক ও নোডাল আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি এবং দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন।