কলকাতা: রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তি কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে রাজ্যে আসা কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিজি পি নির্জনয়নের সঙ্গে শিলিগুড়িতে এক বৈঠকে নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে তাদের এই কথা জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
কমিশনের নজরদারির জন্য ওয়েব কাস্টিং বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে৷ স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুট মার্চ করানো ছাড়াও নির্বাচনের দিন তাদের যেন যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা হয় সেই বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানে সম্প্রতি বোমা বিস্ফোরণে শিশু মৃত্যু ও বীরভূমে বোমা পাওয়ার ঘটনায় কমিশনার দুই জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক কে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। কয়েকটি জেলায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে কমিশন চুপ করে বসে থাকবে না বলেও কমিশনার শীর্ষ আধিকারিকদের জানিয়ে দেন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখতে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কতটা কার্যকর করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সেই বিষয়েও খোঁজ খবর নেন।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ শিলিগুড়িতে জেলা প্রশাসন, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে কমিশন বদ্ধপরিকর। রাজনৈতিক হিংসা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোভিড বিধি যাতে কঠোরভাবে মেনে চলা হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। সিভিক ভলেন্টিয়ার ও গ্রিন পুলিশদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, রাজ্যে বিধানসভা ২০৯ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক এবং ৫৪ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।