ভারতের আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিবডির সংখ্যা বেশি, দ্রুত প্লাজমা দাতা চেয়ে পাঠাল ব্রিটেন

 করোনা ভাইরাসের কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। সেই ভ্যাকসিন রাশিয়াতে সেপ্টেম্বর থেকে পাওয়া গেলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে কবে পাওয়া যাবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটপূর্ণ রোগীদের জন্য প্লাজমা থেরাপি ভালো কাজ দিচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার হার যেমন বেশি। তেমনি অ্যান্টিবডির সংখ্যাও বেশি। এমনটাই দাবি করে ভারতে প্লাজমা দাতার অনুরোধ করল ব্রিটেন।

লন্ডন:  করোনা ভাইরাসের কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। সেই ভ্যাকসিন রাশিয়াতে সেপ্টেম্বর থেকে পাওয়া গেলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে কবে পাওয়া যাবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটপূর্ণ রোগীদের জন্য প্লাজমা থেরাপি ভালো কাজ দিচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার হার যেমন বেশি। তেমনি অ্যান্টিবডির সংখ্যাও বেশি। এমনটাই দাবি করে ভারতে প্লাজমা দাতার অনুরোধ করল ব্রিটেন।

আরও পড়ুন- চিন, রাশিয়ার পর করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর শোনাল আমেরিকা

ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের শরীরে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের শরীরে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থেকে প্লাজমা দাতা পেলে ব্রিটেনের রোগীদের দ্রুত সুস্থ করা যাবে। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তরফে তাই দ্রুত ভারতের প্লাজমা দাতা চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- করোনা মহামারীতে চরম দারিদ্রের মুখে পড়বে ১০ কোটি মানুষ, দাবি ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের

ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের চিকিৎসক শ্রুতি নারায়ন জানান, দাতার থেকে প্লাজমা নেওয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যায়। দ্রুত আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠেন। দাতার প্লাজমা থেকে অ্যান্টিবডি দ্রুত আক্রান্তের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, এশীয় নাগরিকদের শরীরে গড়ে ৪৪.১ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। সেখানে ইউরোপের নাগরিকদের শরীরে ২২.৪ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *