চিরাচরিত হিন্দু-মুসলিম ইস্যুতে মমতাকে বিঁধতে শুরু করলেন শুভেন্দু

চিরাচরিত হিন্দু-মুসলিম ইস্যুতে মমতাকে বিঁধতে শুরু করলেন শুভেন্দু

47f29c63d725b752e3a765b06ca6146c

নন্দীগ্রাম: বিজেপি মানেই হিন্দু-মুসলিম ইস্যু। এটা কারুর কাছে অজানা নয়। পশ্চিম বাংলায় এতদিনে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এত প্রত্যক্ষভাবে হয়েছে বলে মনে পড়ে না। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ধর্ম রাজনীতি প্রাধান্য পাচ্ছে আবার। নন্দীগ্রামের তেখালিতে জনসভা করে শুভেন্দু অধিকারী সেই হিন্দু-মুসলিম ইস্যুতে আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বললেন তিনি হিন্দু ধর্মকে অপমান করছেন, কোনও ভারতীয় এটা সমর্থন করে না।

এদিন শুভেন্দুর মূল বক্তব্য ছিল, হিন্দু ধর্মকে কলঙ্কিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরস্বতী মন্ত্র ভুল বলছেন, এদিকে চণ্ডীপাঠ ভুল করছেন। কিন্তু কলমাটা ঠিক পড়েন। এই প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সনাতন হিন্দু ধর্মের অপমান কোনও ভারতীয় মেনে নেবে না। এর পাশাপাশি মমতাকে পাকিস্তান ইস্যু নিয়েও আক্রমণ করেন তিনি। মন্তব্য করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানে বোমা মেরেছিল, আর নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রমাণ চেয়েছিল। এদিকে উনি আবার দেশের চারটি রাজধানী চান। আদতে ভারত ভাগ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমন অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। 

আরও পড়ুন-  বাংলার ইতিহাসে অভিশপ্ত বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত হবে! নবান্ন প্রসঙ্গে বাবুল

এদিন তিনি আরও বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষ আঘাত করে পা ভেঙে দিয়েছে, একথা প্রমাণ করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, এদিন দলীয় জনসভা থেকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রাক্তন নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই তিনি বলছেন নন্দীগ্রামের লোক আমাকে আক্রমণ করেছে। আমরা দাবি করি সেই লোকগুলো কে, তার নাম প্রকাশ আপনাকে করতে হবে।” নন্দীগ্রামের মানুষকে প্রতিদিন এভাবে অপমান করার অধিকার নেই তৃণমূল সুপ্রিমোর, এদিন তাও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখানেই শেষ নয়, বৃহস্পতিবারের সভা থেকে নন্দীগ্রামের গেরুয়া প্রার্থী আরো বলেন, “উনি বলছেন, সিপিএম আমার মাথায় মেরেছে, সিপিএম আমার কোমরে মেরেছে, আর নন্দীগ্রাম আমার পা ভেঙে দিয়েছে।” নন্দীগ্রামের মানুষের এহেন অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাকও দিয়েছেন তিনি। ফাইল ছবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *