স্কুলের মুখ না দেখেও ভোটের ময়দানে ৬৩ জন প্রার্থী! সমীক্ষার রিপোর্টে উদ্বেগ!

আগামী ১ এপ্রিল রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

কলকাতা: দরজায় কড়া নাড়ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য জুড়ে ভোটের উত্তাপে তাই ভরা বসন্তের ঝরছে ঘাম। হাতে গুণে আর কয়েক ঘন্টা পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে প্রথম দফার বঙ্গ ভোট। তার আগে প্রাক-নির্বাচনী উত্তাপকে আরো খানিক উস্কে দিয়ে প্রকাশিত হল সমীক্ষার রিপোর্ট।

আগামীকাল প্রথম দফার পর এ রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। এই দ্বিতীয় দফায় ভোটে লড়তে চলেছেন মোট ১৭১ জন প্রার্থী। দ্বিতীয় দফার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কত? সম্প্রতি করা এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে সেই তথ্য। পশ্চিমবঙ্গ ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস নামক এক বেসরকারি সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্ট যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় ভোটে লড়তে নামা মোট ১০১ জন প্রার্থী স্নাতক বা তার বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী। শুধু তাই নয়, এঁদের মধ্যে ২ জনের রয়েছে ডিপ্লোমা ডিগ্রীও। শতাংশের বিচারে স্নাতক প্রার্থীর হার ৫৯%। তবে এর বিপরীতে উঠে আসা দৃশ্যটি খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়।

দ্বিতীয় দফায় যে ১৭১ জন প্রার্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঝান্ডাকে আশ্রয় করে ভোটের লড়াইয়ে নামছেন তাঁদের মধ্যে স্কুলে গন্ডি পেরোননি প্রায় ৩৭ শতাংশ, এমনটাই জানিয়েছে সমীক্ষার রিপোর্ট। জানা গেছে, মোট ৬৩ জন ভোট প্রার্থী এক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী। এখানেই শেষ নয়, এঁদের মধ্যে ৪ জন প্রার্থী এমনও আছেন যাঁরা শুধুমাত্র স্বাক্ষর। আর কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা তাঁদের নামের পাশে বসানো যায় না।

অস্বস্তি বাড়িয়েছে আরো এক তথ্য। ১৭১ জন মোট প্রার্থীর মধ্যে একজনকে নিরক্ষর বলেও চিহ্নিত করেছে পশ্চিমবঙ্গ ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের সমীক্ষা। ন্যূনতম অক্ষরজ্ঞান ছাড়া কীভাবে রাজনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকছেন ভোট প্রার্থী, কীভাবেই বা নির্বাচনে জয় লাভের পর নানা বিষয় পর্যালোচনা করবেন, তা নিয়ে নিঃসন্দেহে উঠেছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =