উইসকনসিন: ইউরোপ আমেরিকা জুড়ে শেষ দু’ তিন মাসে হল প্রচুর আন্দোলন। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ শীর্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচিও চলল বহল পরিমাণে। তারপরেও পরিস্থিতি সেই তিমিরেই। আবার আমেরিকা, আবারও কৃষ্ণাঙ্গের প্রতি শ্বেতাঙ্গের অত্যাচার এবং আবারও সেই পুলিশের হাত ধরেই।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার রেশ এখনও কাটতে পারেনি। এরই মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ যুবককে গুলি করার অভিযোগ উঠল মার্কিন পুলিশের বিরুদ্ধে। মিনিয়াপোলিসে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের ফ্লয়েডকে হাঁটু দিয়ে চেপে হত্যা করার ঘটনায় তুলকালাম হয়ে গেছে পৃথিবী জুড়ে। ইংল্যান্ড, স্পেন, ইটালি, জার্মানি, ফ্রান্স সহ সমস্ত দেশে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ নাম দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলেছে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল কৃষ্ণাঙ্গ আইকনরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। পাশে থেকেছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন শ্বেতাঙ্গরাও। কিন্তু ফের সেই আমেরিকাতেই এবার নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে পেছন থেকে গুলি করা হল। যদিও শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, চিকিৎসার পর আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন জেকব ব্লেক নামক সেই যুবক।
পুলিশের রিপোর্ট বলছে, দুই পরিবারের মধ্যে গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে আসছেন সাদা হাতাকাটা গেঞ্জি এবং কালো হাফপ্যান্ট পরা জেকব। পেছনেই ছিলেন পিস্তল হাতে দুই পুলিশ অফিসার। তাঁরা জেকবের গেঞ্জি ধরে টানাটানি শুরু করলে কোনও প্রতিরোধ করেননি তিনি। এরপর গাড়ির দরজা খুলতে যেতেই শুরু হয় গুলি চালানো। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, জেকবকে হাসপাতালে তারাই নিয়ে যায়।
এদিকে জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। সাধারণ জনতার মধ্যে ক্ষোভের আগুনও চাপা পড়েনি পুরোপুরি। ফলে, জেকব ব্লেকের এই ঘটনা ফের উত্তাল করে দিয়েছে কেনোশা শহরের মানুষদের। শয়ে শয়ে জনতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ইটপাথর ছোড়া থেকে চলে গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাও। কার্ফু জারি করতে হয় এলাকায়। ঘটনায় জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের জোর করে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এদিকে ফের এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।