ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন মমতা! চাঞ্চল্যকর দাবি নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতার

ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন মমতা! চাঞ্চল্যকর দাবি নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতার

কলকাতা: প্রথম দফা নির্বাচনের দিন শুরু থেকেই একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ এবং উত্তেজনার খবর আসছে। তার মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনে সাহায্য করার জন্য তাঁকে ফোন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! দুজনের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও ওই মহিলা কণ্ঠস্বর আদৌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিনা তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে, তবে বিজেপি নেতার দাবি মুখ্যমন্ত্রীই তাঁকে ফোন করেছিলেন। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা কোনভাবেই যাচাই করেনি আজ বিকেল

যে অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে তাতে ওই মহিলা কণ্ঠস্বরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “তুমি তো অনেক ইয়ং ছেলে আর অনেক কাজ করো আমি জানি। তুমি একটু আমাদের এবারের সাহায্য করে দাও না, দেখো কোন অসুবিধে হবে না।” তাঁকে আরও বলতে শোনা যাচ্ছে, তাকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে দেওয়া হত না এবং মেদিনীপুরে ঢুকতে দেওয়া হত না কারণ সেখানে এক পরিবারের জমিদারি চলত। তিনি আগে খবর রাখতেন না কিন্তু এখন সব খবর রাখেন। একইসঙ্গে দাবি করেন, এখন সাহায্য পেলে তিনি আগামী দিনে সবটা দেখে নেবেন, কোন অসুবিধা হবে না! যদিও ওই বিজেপি নেতা সরাসরি তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যে তিনি যে বলে গিয়েছেন সেই দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না। 

এর পাশাপাশি ওই বিজেপি নেতা দাবি করেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য এত ত্যাগ করার পরেও তিনি রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পাননি। সেই প্রেক্ষিতে ওই মহিলা কণ্ঠস্বরকে দাবি করতে শোনা যায়, তিনি আছেন, তিনি সব ঠিক করে দেবেন। তাঁর সঙ্গে যা হয়েছে সেটা অন্যায় হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা মনে করিয়ে দেয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন তিনি নিজের বাড়িতে ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে মিটিং-মিছিল করেছিলেন এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে সিপিএমের হাতে মার পর্যন্ত খেয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে এত ত্যাগ করার পরেও দলের সম্মান পাননি। যদিও এত বড় মাপের নেত্রী হয়েও তার মতো একজন সাধারণ কর্মীকে ফোন করার জন্য ওই বিজেপি নেতা ‘মুখ্যমন্ত্রী’কে ধন্যবাদ দিয়েছেন কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কোনরকম সাহায্য করতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − thirteen =