পোলিং এজেন্ট নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে নারাজ তৃণমূল, নিয়ম বদলের আর্জি

পোলিং এজেন্ট নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে নারাজ তৃণমূল, নিয়ম বদলের আর্জি

কলকাতা: এতদিন পর্যন্ত কোনও বুথে পোলিং এজেন্ট হিসাবে সেই বুথের অথবা পার্শ্ববর্তী বুথের ভোটদাতাদেরই পোলিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা যেত। কিন্তু এখন থেকে কোন বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোন ভোট দাতা শর্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হতে পারবেন। সম্প্রতি বাংলার নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে কমিশনের দারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। তাদের দাবি, বিজেপির আর্জি মেনে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে নিরপেক্ষতা থাকার সম্ভাবনা কম। এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করে এই বিষয়টি তুলে ধরেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন, সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন থেকে শুরু করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায় সহ প্রমুখ। 

সুদীপ বলেন, নির্দিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও বুথের ভোটার যদি সেই কেন্দ্রের যে কোনও বুথে পোলিং এজেন্ট হন তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। কারণ, তিনি কোন বুথ থেকে আসছেন এবং কোন বুথের ভোটার সেই নিয়ে নির্দিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে যথাযথ তথ্য থাকে না। সেই কারণে তার ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব হয় না। তার প্রথম দফায় যা হয়ে গেছে, গেছে, কিন্তু পরবর্তী দফা থেকে এই নিয়ম বদল করতে হবে বলে এদিন কমিশনে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে কমিশনের তরফে বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলেও জানান হয়। সুদীপের যুক্তি, আগের নিয়মে ভোটাররা পোলিং এজেন্টকে চিনতে পারত এবং তাদের সঙ্গেও ভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের সৌজন্যতা থাকত। কিন্তু নয়া নিয়মে তা সম্ভব না। 

এর আগে অনেকবার এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল কোন বুথে প্রার্থীর এজেন্ট দিতে পারছে না। অথবা অনেক সময় কেউ রাজনৈতিক হিংসার কারণে প্রার্থীর এজেন্ট হতে চান না বা ভয় পান। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 7 =