কলকাতা: কমিশনের দফতরে ফের সাফল্য পেলেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। ভোটের মুখে শিক্ষা মহলের একাধিক কর্মীই যুক্ত রয়েছেন নির্বাচনের কাজে। তাঁদেরই নানা সুবিধা অসুবিধার দাবি নিয়ে প্রায়শই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। ভোটের আবহেই দাবি আদায়ের এই কর্মসূচিতে ফের মিলল সাফল্য।
নির্বাচন চলাকালীন ভোটের কাজে নিযুক্ত কোনো কর্মী যদি আহত হন, বা রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়ে প্রাণ হারান, তবে তাঁকে বা তাঁর পরিবারকে সাহায্যের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে, এমনই ন্যায্য দাবি নিয়ে এদিন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। দাবি ছিল, প্রাণহানি ঘটলে ৫০ লক্ষ এবং সাধারণভাবে হতাহতের জন্য 30 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। যদিও শিক্ষক মহলের এই দাবি পুরোপুরি মানা হয়নি, তবে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে বলেই জানা গেছে সূত্রের খবরে। এদিন একটি সার্কুলার জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটকর্মীদের ডিউটি চলাকালীন কোনোভাবে অঙ্গহানির ঘটনা ঘটলে ৭.৫ লক্ষ টাকা এবং হিংসাত্মক ঘটনায় অঙ্গহানি ঘটলে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।
এখানেই শেষ নয়, নিহতের পরিবারের একজনকে চাকরির নিশ্চিত আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। সম্পূর্ণ সাফল্য না পেলেও আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সক্ষম হয়ে খুশি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। এ প্রসঙ্গে সংস্থার রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, “আমরা চাই ভোট কর্মীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একটাও প্রাণ যেন না যায়। নির্বাচন কমিশনকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে।দাবি পুরোপুরি না মেনে নিলেও যেটুকু আমরা আদায় করতে পেরেছি তা আন্দোলনের মাধ্যমেই। আগামী দিনে বাকি দাবিও পূরণ করতে পারবো।”