কলকাতা: রাজনীতিতে ‘নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট’ অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। বিজেপির দাবি, ভোটে সাহায্য চাইতে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ এবং জনৈক বিজেপি কর্মী প্রলয় পালকে ফোন করেছিলেন৷ বিজেপির তরফে সেই কথোপকথনের অডিও প্রকাশ করা হয়৷ ভাইরাল ওই কথোপকথন আজ সারা ভারতের চর্চার বিষয়৷ যদিও ওই কণ্ঠস্বর মুখ্যমন্ত্রীর কি না তা এখনও প্রমান সাপেক্ষ৷ যার সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল৷ তৃণমূল নেতারা শুরু থেকে ওই কণ্ঠস্বর মুখ্যমন্ত্রীর বলে মেনে নিতে অস্বীকার করলেও পরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতা জানান, মমতা যা করেছেন ঠিকই করেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সমর্থকরাও আত্মপক্ষ সমর্থনের দিক খুঁজছে৷ কেউ কেউ ভাঙা হৃদয়ে নিয়ে বলছেন, মমতা যা করেছেন ঠিক করেছেন৷
কিন্তু, এই ঘটনা তৃণমূলের ভোটমুখী রাজনীতিতে ভয়ঙ্কর ‘নেগেটিভ’ প্রভাব ফেলবে! প্রধান কারণ, ওই বক্তব্যের ‘কনটেন্ট’। যা তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূলস্তরের কর্মীদের মন ভেঙে দিতে পারে বলে মনে করেছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ অডিও প্রকাশ করে বিজেপির দাবি, মমতা স্থানীয় নেতাকে ফোন করে জানিয়েছেন, “তোমাদের লোকাল লিডার আমাকে নন্দীগ্রামে যেতে দিত না। সে আমাকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে দিত না। সারা মেদিনীপুরে ঢুকতে দিত না। তাদের একটা জমিদারি চলত।” ওই কন্ঠস্বর মমতার, নাকি তার নয় – সেই বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রযোজন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ যদিও, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথা যদিও স্বীকৃতি দিয়েছে যে ওই কণ্ঠস্বর নেত্রীর। সেক্ষেত্রে সাধারণ জনতা মমতার কথায় দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছে। যে দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেত্রীর কথায় পশ্চিমবঙ্গে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায় – সাধারণ বিজেপি জেলা সহ সভাপতির কাছে তাঁর এই অসহায় সাহায্য প্রার্থনা- তৃণমূল কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ভাঙতে যথেষ্ট।
নন্দীগ্রামের দিকে নজর সারা দেশের। শুভেন্দু অধিকারীকে মমতাকে সেখানে চ্যালেঞ্জ করছেন। নন্দীগ্রামে গুলি কাণ্ডের সাত বছর পর ওই জায়গা আবার সংবাদ শিরোনামে। বহু বছর ভোটে হারেননি মমতা। মমতা নির্বাচনে পরাস্ত হতে পারে তা বাংলার মানুষ ভুলে গিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বিজেপির পক্ষে শুভেন্দু। সেই সময় এই ভাইরাল অডিও (প্রমাণ সাপেক্ষ যদিও) কোনও না কোনও ভাবে জনতার মনে প্রশ্ন তুলেছে – তিনি কী নিজেই জেতার ব্যাপারে আশাবাদী নন? তাহলে বাংলায় তৃণমূলের কী হবে?