কলকাতা: প্রলয় পালকে ফোন করে ‘দিদি’ প্রমাণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আঞ্চলিক দাদারা এখনও কত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
বিজেপির তরফে প্রকাশ করা অডিওতে ‘মমতা’ এবং জনৈক বিজেপি কর্মী প্রলয় পালের ভাইরাল কথোপকথন আজ সারা ভারতের চর্চার বিষয়। যদিও ওই কণ্ঠস্বর মুখ্যমন্ত্রীর কি না তা এখনও প্রমাণ সাপেক্ষ৷ তৃণমূল নেতারা শুরু থেকে ওই কণ্ঠস্বর মুখ্যমন্ত্রীর বলে মেনে নিতে অস্বীকার করলেও পরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতা জানান, মমতা যা করেছেন ঠিকই করেছেন৷ ওই ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সমর্থকরাও আত্মপক্ষ সমর্থনের দিক খুঁজছে৷ কেউ কেউ ভাঙা হৃদয়ে নিয়ে বলছেন – মমতা যা করেছেন ঠিক করেছেন।
স্বাধীনতার পর কংগ্রেস জমানা, অতিবাম নকশাল আমল থেকে ৩৪ বছরের বাম শাসনে সংগঠন সামলে রাখত এলাকার দাদারাই। প্রলয় সেই ব্যবস্থারই একটি অংশ। মমতা ক্ষমতায় আসার পর আঞ্চলিক নেতাদের প্রভাব বেড়েছে, কমেনি। শুভেন্দু অধিকারী থেকে অনুব্রত মণ্ডল – এই সব নেতাদের স্নেহছায়ায় আঞ্চলিক নেতারা বড় হয়ে উঠেছেন। যদিও তাদের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করেনি, কিন্তু নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রলয় কাণ্ডের মত ঘটনা রাজনৈতিক নেতাদের দাদা তন্ত্রের প্রতি অমোঘ আকর্ষণের কথাই প্রতিষ্ঠিত করল। বলা যেতে পারে – ভোটে এই ছোট ছোট আঞ্চলিক নেতাদের যে কি বিপুল ভূমিকা – তা তে শীলমোহর দিয়েছেন মমতা (যদিও ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল)।
নন্দীগ্রামের দিকে নজর সারা দেশের। শুভেন্দু অধিকারীকে মমতাকে সেখানে চ্যালেঞ্জ করছেন। নন্দীগ্রামে গুলি কাণ্ডের সাত বছর পর ওই জায়গা আবার সংবাদ শিরোনামে। বহু বছর ভোটে হারেননি মমতা। মমতা নির্বাচনে পরাস্ত হতে পারে তা বাংলার মানুষ ভুলে গিয়েছি। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বিজেপির পক্ষে শুভেন্দু। সেই সময় নেত্রীর এই ফোন (প্রমাণ সাপেক্ষ যদিও) কোনও না কোনও ভাবে জনতার মনে প্রশ্ন তুলেছে – তিনি কী নিজেই জেতার ব্যাপারে আশাবাদী নন? তাহলে বাংলায় তৃণমূলের কী হবে।