টোকিও: ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে৷ ভেঙে পড়েছে শরীর৷ শারীরিক অসুস্থতার কারণেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে৷ সে দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে শুক্রবার খবরটি প্রকাশ্যে এসেছে৷
আরও পড়ুন- করোনা-কালে সম্পত্তি বাড়িয়ে অ্যামাজন-কর্তার বিশ্ব রেকর্ড, কত আয় জানেন?
টানা আট বছর ধরে জাপানের মসনদে রয়েছেন ৬৫ বছরের শিনজো আবে৷ বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর শারীরিক অসুস্থতার খবর সামনে আসছিল৷ করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার পর সেই ভাবে প্রকাশ্যে আসেননি তিনি৷ গত এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার হাসপাতালেও যান আবে৷ এর পরেই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে আবে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি যদি মানুষের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারি, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা উচিত নয়৷’’ দীর্ঘদিন ধরেই আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগে আক্রান্ত তিনি৷ চিকিৎসার মাধ্যমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে৷ নতুন করে তাঁর যে চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার জন্যে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে না৷ আবে বলেন, ‘‘আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জনগণের আদেশ পালন করতে পারছি না৷ তাই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকলেও এতদিন সরকারি ভাবে সেই খবর প্রকাশ্যে আনা হয়নি৷ জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে একদিন নিজের অফিসের মধ্যেই রক্তবমি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, সেই খবরও প্রকাশ হতে দেওয়া হয়নি। গত কয়েক মাসে একাধিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। যে কটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন, সেখানে তাঁকে দেখে অত্যন্ত দুর্বল মনে হয়েছে৷ তবে এর আগেও অসুস্থ হয়েছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ গত ১৭ আগস্ট শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজধানী টোকিও ‘র কেইও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে গিয়েছিলেন শিনজো আবে। এটা যে সরকারি সফর ছিল না, তা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- মহিলাদের তুলনায় করোনার প্রভাব পুরুষের শরীরে বেশি, কারণ জানালেন বিজ্ঞানীরা
২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শিনজো আবে৷ কিন্তু পরের বছরই বেশ কিছু বিতর্কের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাঁকে৷ ২০১২ সালে ফের জাপানে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেন শিনজো আবে৷