গোঘাট: বহিরাগত গুণ্ডা নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ গোঘাটের জনসভা থেকে আরও একবার নন্দীগ্রামে বহিরাগত গুণ্ডা ঢোকানোর অভিযোগ তুললেন তিনি৷ সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রশ্নে একহাত নিলেন নির্বাচন কমিশনকে৷ বিঁধলেন অধিকারী পরিবারকে৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে ঢুকেছে বহিরাগত গুণ্ডা, বিলোনো হচ্ছে টাকা, কমিশনকে একহাত মমতার
তাঁর কথায়, ‘‘আমি কারও গায়ে হাত দিই না৷ আমার গায়ে হাত দিলেও আমি ক্ষমা করে দিই৷ এর জন্য আমার দলের লোকেরা বলেন, দিদি আপনি একটু দুর্বল আছেন। যাঁরা শয়তান তাঁদের বিরুদ্ধেও কিছু করেন না৷ কিন্তু সেটা নয়৷ কাউকে কাউকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছি৷ না হলে ওই গদ্দারদের এত সাহস? খাইয়ে পড়িয়ে মানুষ করেছি৷ দুধকলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি৷’’
মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিস, তুইও লড়বি আমিও লড়ব৷ মানুষ যাঁকে পছন্দ করবে ভোট দেবে৷ যাঁকে পছন্দ করবে না ভোট দেবে না৷ এত হিংসা কীসের?’’ প্রসঙ্গত, গতকালও তাঁর গাড়ির উপর হামলা করা হয়েছে৷ পথ আটকানোর চেষ্টা হয়েছে৷ যার সাক্ষী রয়েছে সংবাদমাধ্যম৷ তাঁর কথায়, এ সব দেখার পরেও নির্বাচন বলে চুপ করে আছি, নাহলে দেখে নিতাম কার কত বড় চেহারা৷
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল করলে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ উত্তরপ্রদেশের হাথরাসকাণ্ড হয়েছে বলে বাংলার মেয়েদের গায়ে হাত লাগাতে দেব না৷ এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করতে হোক৷ কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘বলছে, ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়বে৷ তাহলে ভোট করতে ভয় কীসের? বিহার-উত্তরপ্রদেশ থেকে গুণ্ডা-বন্দুক পাঠিয়েছে৷ এখনও নন্দীগ্রামে সেই গুণ্ডা বসে আছে৷ নির্বাচন কমিশনকে বলে বলে মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে৷ গলা ব্যথা হয়ে গিয়েছে আমার৷’’
আরও পড়ুুন- আক্রান্ত হতেই Y+ নিরাপত্তা পেলেন BJP প্রার্থী অশোক দিন্দার, সঙ্গী হবে ২০ জওয়ান
তাঁর কথায়, এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে পুলিশ৷ তাহলে আপনাদের কাছে কেন বার্তা গেল না পায়ে চোট লাগার পরেও গতকাল ফের আমার গাড়ি ঘিরে তাণ্ডব করা হল৷ কালকেও নন্দীগ্রামের বোয়াল, গোকুলনগর সহ একাধিক জায়গায় রাতভোর ভয় দেখানো হয়েছে৷ মমতা বলেন, আমাদের ছেলেদের তাড়া করতে বললে ওঁরা ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাবে৷ কিন্তু আমি সেটা চাই না৷ কারণ আমি শান্তপূর্ণ ভোট চাই৷ এটা আমার দুর্বলতা নয়৷ বাবা-জ্যাঠাদের দেখা আছে৷ পুলিশ দেখলেই পালিয়ে যায়৷