সিতাই: দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামের মেগা দ্বৈরথের আগের দিন ঘাসফুল শিবিরের হয়ে ফের প্রচারে গলা ফাটালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একুশের বাংলায় উত্তরোত্তর যে রাজনৈতিক উন্মাদনা বাড়ছে, সেই আবহে দলীয় জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাঁঝালো আক্রমণ রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে সৃষ্টি করেছেন আলোড়ন।
এদিন দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ এবং সিতাই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বর্মার হয়ে প্রচারে জনসভায় যোগ দেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই এদিন অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে প্রকাশ্য জনসভায় এহেন দাবি ভোটের মাঝে নিঃসন্দেহে উত্তাপ বাড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
ঠিক কোন ইস্যুতে অমিত শাহকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? বস্তুত, বাংলায় সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মানুষকে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন গেরুয়া দলের নেতারা। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ থেকে অনধিকার অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে বলেও দিন কয়েক আগে দাবি করেছেন অমিত শাহ। এদিন এই অনুপ্রবেশকারী ইস্যুকেই বিজেপি বিরোধিতার অন্যতম হাতিয়ার করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলার সীমান্তে পাহারায় আছে বিএসএফ তথা কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সেনাবাহিনী। রাজ্যের পুলিশ যে সীমান্ত পাহারা দেয় না এদিন তা জোর গলায় মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। অর্থাৎ অনুপ্রবেশ যদি বাংলাতে ঘটেই তবে তার জন্য বিএসএফ দায়ী বলে দাবি করেছেন তিনি।
এরপরই অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “অনুপ্রবেশকারীরা যদি ঢুকছে, আগে ইস্তফা তোমার দেওয়া উচিত। কারণ ঢোকাচ্ছো তুমি। বাংলার মানুষের সাথে গদ্দারি করছো তুমি।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে বিএসএফ প্রধানের ইস্তফাও দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ। বলা বাহুল্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় জনসভায়।