সিঙ্গুর: শিল্প হবে। সিঙ্গুরে জনসভা করে এই ঘোষণা করে দিলেন নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে দাবি করলেন, যারা সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল এখন তারা বিজেপির দলে নাম লিখিয়েছে। এর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বললেন, আগামী ২ মে’র পর রাজ্যে আবার মা-মাটি-মানুষ সরকার গঠন হবে, তিনি আবার সিঙ্গুরে আসবেন।
এদিন মমতা জানান, সিঙ্গুরের জমিকে চাষযোগ্য করার জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এখন সিঙ্গুর আন্দোলন পাঠ্যপুস্তকেও স্থান পেয়েছে। মমতা বলেন, আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে কৃষিভিত্তিক শিল্প হবে এবং অনেক কর্মসংস্থান হবে। মমতা জানান, আগামীদিনের সিঙ্গুরের শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে। আগে স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রি হবে, তারপর বড় শিল্প গড়ে উঠবে। এই কারণে তিনি আর্জি জানিয়েছেন যাতে সকলে বেচারাম মান্নাকে সমর্থন জানান, ভবিষ্যতে তিনি সিঙ্গুরের মানুষের হয়ে কাজ করবেন। এর পাশাপাশি মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে মাস্টারমশাই বিজেপির টিকিটে লড়ছেন! একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তিনি চেয়েছিলেন সিঙ্গুর থেকে নির্বাচনে লড়তে কিন্তু মাস্টারমশাই কথা শোনেননি বলে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে লড়ছেন।
মমতার কথায়, “আমি ভেবে পাই না কী করে মাস্টারমশাই দাঁড়ান বিজেপির হয়ে। আমি মাস্টারমশাইকে সম্মান জানাই। আমি এতদিন তাঁকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছি এবং আমি নিজে বলেছিলাম, মাস্টারমশাই আপনি যেহেতু আমাদের সকলের থেকে বয়জ্যেষ্ঠ, তাই আপনি আমাদের পরামর্শ দিন, আপনাকে কোন এক উপদেশ কমিটির চেয়ারম্যান করে দেব, আপনি সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।” এই প্রসঙ্গে মমতা দাবি করেন, গত বছর তিনি চেয়েছিলেন সিঙ্গুর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে, কিন্তু অবশেষে মাস্টারমশাই কথা শোনেননি। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন যে আগামী পাঁচ বছর বেচারামকে এখানে কাজ করতে দিতে, কবে সেই অনুরোধ কোন কাজে লাগেনি।