সিঙ্গুর: ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত দাবি করছেন যে, তাদের দলে প্রার্থী করার লোক ছিল না তাই অন্য দল থেকে ভাড়া করে প্রার্থী করেছে। এদিকে নিজেদের দলের কয়েকজন সাংসদকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এদিন সিঙ্গুরে জনসভা করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সাংসদদের প্রসঙ্গ তুলে পদ্ম শিবিরকে কটাক্ষ করেন তিনি।
মমতা বলেন, লকেট বেচারা একটা সাংসদ, তাকে ডাউন করে নির্বাচনে লড়াই করতে পাঠিয়ে দিয়েছে বিজেপি। সাংসদ থেকে এখন বিধায়ক হবার জন্য লড়তে হচ্ছে তাঁকে। ‘ছিল বাঘ হয়ে গেল বিড়াল’, প্রবাদ টেনে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, এরপরে ইঁদুর হয়ে যাবে সে! একইরকম ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য যিনি এবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে সিঙ্গুরে প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে মমতা বলেন, “মাস্টারমশাইয়ের এত বয়স, কোথায় একটু পা টিপে দেবে, সিদ্ধ ভাত করে দেবে, তা নয় গরমের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কত কষ্ট হচ্ছে লোকটার!” তাৎপর্যপূর্ণভাবে গতকাল অন্য এক বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের প্রশংসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছিলেন যে, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর থেকে ভালো। আজ আবার রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে ‘সুখ্যাতি’ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এর নিশ্চয়ই অন্য মানে খুঁজছেন।
প্রসঙ্গত মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিজেপি প্রার্থী হওয়া নিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছর তিনি চেয়েছিলেন সিঙ্গুর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে। সেই কারণে তিনি বেচারাম মান্নাকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যাতে তিনি মাষ্টারমশাইকে বোঝান। কিন্তু মমতা দাবি করেন, মাস্টারমশাই শোনেননি, তাই তিনি সিঙ্গুর থেকে দাঁড়াননি। মমতার কথায়, “আমি ভেবে পাই না কী করে মাস্টারমশাই দাঁড়ান বিজেপির হয়ে। আমি মাস্টারমশাইকে সম্মান জানাই। আমি এতদিন তাঁকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছি এবং আমি নিজে বলেছিলাম, মাস্টারমশাই আপনি যেহেতু আমাদের সকলের থেকে বয়জ্যেষ্ঠ, তাই আপনি আমাদের পরামর্শ দিন, আপনাকে কোন এক উপদেশ কমিটির চেয়ারম্যান করে দেব, আপনি সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।”