প্যারিস: মার্চের সময় থেকে ফ্রান্স যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল। হু হু করে ফ্রান্সের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে। ফ্রান্সে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা বার বার আশঙ্কা করছিলেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সত্যি করে ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হল। গত ২৪ ঘণ্টায় উদ্বেগ বাড়িয়ে ফ্রান্সে সাত হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন- শেষ কয়েক ঘণ্টা কী কী করেছিলেন সুশান্ত, CBI জেরার মুখে ব্যাখ্যা ৪ সাক্ষীর
গত মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণের জেরে ফ্রান্স মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। আস্তে আস্তে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে ফ্রান্সের জনজীবন। এখনও পর্যন্ত করোনায় ফ্রান্সে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন। সম্প্রতি ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হঠাৎ করে করোনায় আক্রান্তের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানা গিয়েছে, তবে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে রোগী আসার হার ও মৃত্যুর সংখ্যা কম। ফের লকডাউনের কথা ভাবছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের ঘোষণা হতে পারে।
আরও পড়ুন- ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত হচ্ছে রাফাল, ঘুম ছুটছে চিন-পাকিস্তানের
ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা ভাইরাসের থেকে মুক্তি নেই। ইতিমধ্যে অনেকগুলি ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে। একটি মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে, অক্টোবরের মধ্যেই বাজারে ভ্যাকসিন নিয়ে আসবে। অন্য দিকে, রাশিয়া ইতিমধ্যে তাদের ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক উপায়ে তৈরি করতে শুরু করেছে। রুশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সবার প্রথম চিকিৎসকদের সেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অন্য দিকে একমাস আগেই চিন গোপনে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে৷