BREAKING: নন্দীগ্রামে ভোটে করাতে দেওয়া হচ্ছে না! আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার

BREAKING: নন্দীগ্রামে ভোটে করাতে দেওয়া হচ্ছে না! আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার

6c364c7e0ffc56ec6cf5a527bdcd2eca

নন্দীগ্রাম: সাত সকালে ভোট দিয়ে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়িয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভাড়া বাড়ি থেকে বের হলেন, তখন প্রায় দুপুর ১টা বেজে গেছে। বুথ পরিদর্শন করতে করতে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। মমতার বক্তব্য, নন্দীগ্রামে হিন্দিভাষী রয়েছে এবং বহিরাগতরা ভোট করাতে দিচ্ছে না! এই প্রেক্ষিতে মমতা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, বারবার বলা সত্বেও নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি, তাই এবার তিনি আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা মন্তব্য করেছেন, নন্দীগ্রামে বেশ কয়েকজন হিন্দিভাষী রয়েছে এবং তাদের আশ্রয় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী! বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং একাধিকবার নির্বাচন কমিশনকে বলার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই তিনি ৬৩ টি অভিযোগ পেয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে এমনটা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোন করে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়েই বয়ালে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন ভোটাররা৷ বিজেপি’র বিরুদ্ধে ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়৷  উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে৷  এখানে সকাল থেকেই অভিযোগ ছিল, ৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি৷ ভয় দেখিয়ে বিজেপি’কে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে৷ এখানে অবাধে ভোট লুঠ হয়েছে। তৃণমূল বারবার এই কেন্দ্রে অভিযোগ করলেও কোও ব্যবস্থা করা হয়নি৷ অন্যদিকে, বিজেপি বলে আসছে এখানে কোনও সমস্যা নেই৷ এদিকে বেলা বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ৭ নম্বর বুথে পৌঁছন৷ এরই মাঝে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় হতাহাতি৷ পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও তৃণমূল ও বিজেপি’র মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়৷ রীতিমতো থান ইঁট তুলে একে অপরকে টার্গেট করেন তাঁরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *