কলকাতা: গুরুবারে ভোটপর্বের মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের বয়াল৷ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা বয়ালের ৭ নম্বর বুথে প্রায় ২ ঘণ্টা বসে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েই আজ কমিশনে গেল বিজেপি৷ তাঁদের অভিযোগ, এই ভাবে বুথে গিয়ে ধর্না দিতে পারেন না কোনও প্রার্থী৷
আরও পড়ুন- কার্যালয়ে মহিলা নেত্রীকে বেধড়ক মার বিজেপি নেতার! অভিযোগ দায়ের
এদিন শিশির বাজোরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, একজন প্রার্থীর সব বুথে যাওয়ার অধিকার রয়েছে৷ কিন্তু বুথে গিয়ে ধর্না দিতে পারেন না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নম্বর বুথে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধর্না দিলেন৷ উনি সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে সেখানে বসে গেলেন৷ ১৪৪ ধারার কথা সম্পূর্ণ ভুলে গেলেন৷ এবং একথা গতকালের ফুটেজ দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়৷ নির্বাচন চলাকালীন একজন প্রার্থী কী ভাবে একটা বুথে ঢুকে ধর্না দিতে পারে?’’ প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বাজোরিয়া বলেন, এটা হতে পারে না৷ এর উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা সেখানে আসেননি৷ উনি ওঁনার সম্পূর্ণ নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে সেখানে পৌঁছয়৷ ওখানে ২ ঘণ্টা ধরে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন৷ ভোটের গতি কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন৷
তাঁর কথায়, দ্বিতীয় দফার ৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে নন্দীগ্রামে প্রায় ২ শতাংশ ভোট কমে গিয়েছে৷ দুপুরে মমতা যখন বাড়ি থেকে বেরন তখনই উনি বুঝে গিয়েছিলেন যে উনি হারছেন৷ সেটা বুঝেই ধর্নায় বসেন তৃণমূল প্রার্থী৷ এছাড়াও আরও একটি ভিডিয়ো হাতে এসেছে, যেথানে ভোটের পর উত্তরপ্রদেশ পাঠিয়ে দেব, বিহার পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে৷ তাঁ কথায়, ভোটের পর উনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না৷ সেই সময় এসবের কোনও মানেও থাকবে না৷ তিন্তু হুমকি হুমকিই হয়৷ এখন ৬টি পর্যায়ের ভোট বাকি রয়েছে৷ এই হুমকির জেরে কোনও অঘটনও ঘটলে তার দায় কে নেবে?
আরও পড়ুন- তৃণমূল প্রচার করতে দিচ্ছে না! গুরুতর অভিযোগ আনলেন রুদ্রনীল
বিজেপি’র অভিযোগ, ১৪৪ ধারা বলবৎ জানা সত্বেও এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হল যে, সব কিছু ওলট পালট হয়ে গেল৷ এর উদ্দেশ্যও স্পষ্ট৷ কম মার্জিনে হারতে ভোটের গতি কমিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি৷ উনি যেটা করেছেন সেটা আইন বিরুদ্ধ৷