কলকাতা: কার্যালয়ের ভেতরে এক মহিলা নেত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল খোদ বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিকাপুরে। ইতিমধ্যেই সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা নেত্রী। এই ঘটনায় আবারও দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে বিজেপির, যাতে অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম বাহিনী।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কালিকাপুরে বিজেপি কার্যালয়ে তখন মিটিং চলছিল এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের মন্ডল সভাপতি অরিন্দম রায়, সহ-সভাপতি রিনা টিকাদার এবং যুব মন্ডল সভাপতি প্রসেনজিৎ ভক্ত সহ অন্যান্য নেতারা। সেই সময় কোন একটি বিষয় নিয়ে ওই মহিলা নেত্রীর সঙ্গে মণ্ডল সভাপতির কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে বিষয়টি হাতাহাতিতে চলে যায়। এই সময়েই বিজেপির মন্ডল সভাপতি ওই মহিলা নেত্রীকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন বলে অভিযোগ! পরবর্তী ক্ষেত্রে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই মহিলা নেত্রী। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় বিজেপির মন্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং অবশ্য ভাবে চরম অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বিজেপি শিবির। যদিও এখনো পর্যন্ত দলের তরফে কোন রকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে।
আরও পড়ুন- ভোটের দিন মোদী-মমতার প্রচারে আপত্তি সংযুক্ত মোর্চার! কমিশনের দ্বারস্থ তারা
বাংলায় প্রচার করে বিজেপি সর্বক্ষণ নারী সুরক্ষার কথা বলেছে এবং এখনো পর্যন্ত বলছে। নির্বাচনী ইস্তেহারেও নারী সুরক্ষা এবং নারীদের প্রগতি নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নারী সুরক্ষা বজায় রাখতে না পারার জন্য কটাক্ষ করেছে তারা। তবে যে বিজেপি নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলছে তাদের দলের অন্দরেই নারীদের এই অবস্থা অবশ্য ভাবে সাধারণ মানুষকে স্তম্ভিত করেছে। অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ প্রায় সকলেই জানেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে, খোদ শহর কলকাতায় বিজেপির কার্যালয়ে মহিলার এইরূপ হেনস্থার ঘটনা অবশ্য ভাবে নির্বাচনের মধ্যে চাপে ফেলবে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে।