‘অ্যাসপারটেম’ নামক কৃত্রিম চিনি ‘ক্যানসার সৃষ্টিকারী যৌগ’, ঘোষণা করতে পারে WHO

‘অ্যাসপারটেম’ নামক কৃত্রিম চিনি ‘ক্যানসার সৃষ্টিকারী যৌগ’, ঘোষণা করতে পারে WHO

জেনেভা: কৃত্রিম চিনি নষ্ট করছে DNA, বয়ে আনছে ক্যানসার। কয়েক সপ্তাহ আগেই কৃত্রিম চিনির বহু মাত্রায় ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। এবার জানা গেল, খুব তাড়াতাড়ি ‘অ্যাসপারটেম’ নামক কৃত্রিম চিনিকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী যৌগ বা ‘কার্সিনোজেন’ বলে ঘোষণা করতে চলেছে তারা। সম্প্রতি রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। হু-এর ক্যানসার গবেষণা সংস্থা মাস খানেকের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেবে বলে খবর। 

কোকো কোলার ডায়েট কোক, মার্স এক্সট্রা চুয়িংগামে অ্যাসপারটেম ব্যবহার করা হয়। ভারত-সহ আরও ৯০ টি দেশে এর ব্যবহার রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে আতঙ্ক বেড়েছে। তাহলে কি ডায়েট কোক থেকেও ক্যানসার হতে পারে, এই প্রশ্ন ছেয়ে গিয়েছে মানুষের মনে। এদিকে আরও একটি বড় বিষয় হল, ৯৫ শতাংশ কার্বোনেটেড নরম পানীয়তে অ্যাসপারটেম ব্যবহার করা হয়। তাই সাধারণত যে নরম পানীয় বাজারে পাওয়া যায় তা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও নরম পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই তত্ত্ব মানতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য, এই গবেষণা ভিত্তিহীন এবং এতে সাধারণের চিনি খাওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে, ফলে শরীরের আরও বেশি ক্ষতি হবে। 

প্রসঙ্গত, অ্যাসপারটেমে ক্যালোরির মাত্রা শূন্য। এক চামচ চিনির তুলনায় এটি ২০ গুণ বেশি মিষ্টি। ১৯৮১ সালে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অ্যাসপারটেম ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এর আগের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনির বিকল্প হিসেবে যে যে খাবার আছে তা থেকে এই ধরনের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এইসব খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহৃত  কৃত্রিম ‘সুইটনারে’ রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক। তার ফলেই এই মারাত্মক সব রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *