জেনেভা: করোনা কবলিত বিশ্বকে চমকে দিয়ে গত মাসে টিকা আবিষ্কারের কথা জানিয়েছিল রাশিয়া৷ টিকা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে আমেরিকাতেও৷ ভারতেও চলছে মানব দেহে করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ৷ অক্সফোর্ডের টিকা নিয়েও আশাবাদী বিশ্ববাসী৷ তবে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের আগে সারা বিশ্বে ব্যাপক হারে টিকা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ শুক্রবার এ কথা জানালেন হু-র এক মুখপাত্র৷ বরং তাঁরা অধিক জোড় দিচ্ছেন টিকার কার্যকারিতা ও সুরক্ষার উপর৷
আরও পড়ুন- উত্তপ্ত LAC-র পরিস্থিতি, তৈরি আছে ভারতীয় সেনা: সেনাপ্রধান নারাভানে
হু-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কোনও টিকারই অ্যাডভান্স ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়নি৷ হু-র নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ কার্যকারিতাও এখনও স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়নি৷’’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে রাশিয়া। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে তৈরি হওয়া এই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ব জুড়ে।
অন্যদিকে, মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা পিফজার ইনকরপোরেশন জানিয়েছে, অক্টোবরের শেষেই করোনার টিকা বিতরণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে আমেরিকা। ১ নভেম্বরের মধ্যে করোনা টিকা জনগণের মধ্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে আমেরিকার সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সরকার। এর পর থেকেই করোনা টিকা নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে৷ বলা হচ্ছে, নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই মার্কিন নাগরিকদের করোনার দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই বারের নির্বাচনে গুরুতর প্রভাব ফেলবে করোনা প্যান্ডামিক৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত করা হবে কিনা, তা বলা মুশকিল৷
আরও পড়ুন- BREAKING: পরীক্ষা মামলায় বড় ধাক্কা, বাংলা-সহ ৬ রাজ্যের আবেদন খারিজ!
এদিন জেনেভায় হ্যারিস বলেন, ‘‘আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমরা একেবারেই আশাবাদী নই৷ তৃতীয় ফেজের ট্রায়ালে বেশি সময় নিতে হবে৷ নির্দিষ্ট টিকাটি কতখানি নিরাপদ ও কার্যকরী তা আমাদের দেখতে হবে৷’’