ভারত বিরোধী কথা বলছেন মমতা, গলায় আতঙ্কবাদীদের সুর! তোপ বিজেপির

ভারত বিরোধী কথা বলছেন মমতা, গলায় আতঙ্কবাদীদের সুর! তোপ বিজেপির

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রায় প্রতিদিন আক্রমণ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করে বলছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ভোটারদের ভয় দেখিয়ে তাদের বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে তাদের গাড়ি থেকে বিজেপি টাকা বিলি করছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। এই প্রেক্ষিতে আজ কোচবিহারের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নিদান দেন তিনি। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেন্সর করার আবেদন জানিয়েছে। এবার তাঁকে ভারতবিরোধী বলল ভারতীয় জনতা পার্টি। মন্তব্য করা হলো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতকে টুকরো করার জন্য নির্বাচনে লড়ছেন, তাঁর গলায় আতঙ্কবাদীদের সুর।

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে মন্তব্য করেছেন তার প্রেক্ষিতে বিজেপি বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রমাণ করে যে উনি ভারতবিরোধী কথা বলছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা মানে হলো ভারত বিরোধিতা করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঠাৎ কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শত্রু হিসেবে ভাবছেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনে অংশ নেয় না, তারা শুধুমাত্র নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সংগঠিত করতে আসে। সেই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলার সমান। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এই মন্তব্যের পর বাংলার রাজনৈতিক মহলের উত্তেজনা আরো প্রবলভাবে বেড়ে গিয়েছে।

 

আরও পড়ুন- ভরা জনসভায় সিপিএম’কে ‘স্বৈরাচারী’ বললেন অধীর! বাড়ালেন জোট জট

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে বিজেপি প্রতিনিধিদল আরো জানিয়েছে, জনসভা করে মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার ভাবে বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আটক কর, ঘেরাও কর। এইভাবে মন্তব্য করে তিনি উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সেন্সর’ করার দাবি জানান হয়েছে। বিজেপির দাবি, যদি এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশন না নেয়, তাহলে এই ধরণের উস্কানির মত ঘটনা আরও বাড়বে ভবিষ্যতে। শিশির আরও বলেন, যে এদিন মমতা কার্যত বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, কীভাবে ভোট লুট করতে হবে। একদল বাহিনী ঘিরে থাকবে, একদল ভোট দেবে, এই ধরনের মন্তব্য অবশ্যভাবে অপরাধ যোগ্য। ফাইল ছবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − three =