নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু! ‘অভিযুক্ত’ বিজেপি বলছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু! ‘অভিযুক্ত’ বিজেপি বলছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

43b0d1573359c4e8d13405dba589e0b6

নন্দীগ্রাম: দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বাংলার সবথেকে আলোচিত কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই ছিল সেদিন। সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের নানা জায়গায় উত্তাপের চিত্র ধরা পড়েছিল। সেই দিনই বলরামপুরে রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্না। আজ তার মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের একবার বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু। তৃণমূল বলছে বিজেপির হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাদের কর্মীর, অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, এটা পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।

গোটা ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের বক্তব্য, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে চেয়েছিল বলে এইভাবে প্রাণঘাতী হামলা করা হয়েছিল তাদের ওপরে। আক্রান্তদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তার পরিবারের তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি উপার্জন করেন। আজ বিজেপির হামলায় গোটা পরিবার শেষ হয়ে গেল বলে দাবি করেছে তারা। আজ ভোরে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। আজ সন্ধ্যেবেলা তাঁর মরদেহ নন্দীগ্রামে আনার কথা বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন, এখন রাজ্যের পুলিশ সরকারের হাতে নেই তাই এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনো রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি তিনি আরো অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীরা দিনের-পর-দিন গ্রামবাসীদের উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন, আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। সেই প্রেক্ষিতেই ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকদের ওপর হামলা করেছিল তারা। 

যদিও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোন যোগাযোগ নেই। মূলত অশান্তি সৃষ্টি করার জন্যই এখন তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে। শাসক শিবির যেভাবে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে, এখন সেই একইভাবে ওই কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *