কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ভোটে বাধা দিলে তাদের ঘেরাও করার কথা বলেছেন৷ এবার হাতে লাঠি তুলে নেওয়ার কথা বললেন তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ তিনি বলেন, বুথে যেতে সিআরপিএফ, বিজেপি’র লোকজন বাধা দিলে প্রতিরোধ করতে হবে৷ আত্মরক্ষার জন্য যা প্রয়োজন তাই করা হবে৷ হুঙ্কার তাঁর৷ এর পাল্টা জবাব দেয় বিজেপিও৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু! ‘অভিযুক্ত’ বিজেপি বলছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
এদিন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে বলে মানুষকে আশ্বস্ত করেছিল৷ বলা হয়েছিল, ভোট হবে অবাধ ও সুষ্ঠ৷ নির্বাচনে কোনও ভয়-ভীতি থাকবে না৷ মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারবে৷ প্রয়োজনে সিআরপিএফ বাড়ি থেকে ভোটারদের নিয়ে এসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করবে৷ কিন্তু বাস্তবে সেটা হচ্ছে না৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘প্রচুর এফআইআর করা হয়েছে৷ অবজার্ভারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে৷ এসপিকে বলা হয়েছে৷ তার পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি৷ যদি সিআরপিএফ আর বিজেপি’র হার্মাদরা অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও কোনও বাধা সৃষ্টি করে মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে৷ প্রয়োজনে যা যা করার তাই তাই করবে৷ দরকার পড়লে আত্মরক্ষার জন্য লাঠি হাতে বুথে গিয়ে ভোট দেবে৷ আমরা হাতে চুড়ি পরে বসে থাকব না৷ চোখের সামনে মানুষকে অত্যাচারিত হতে দেব না৷’’
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে ব্লক হয়ে যাবে কার্ড, পাবে না রেশন’, ISF কর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি
রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই মন্তব্য শোনার পরই বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার উস্কানিমূলক বক্তব্য৷ লাঠি হাতে ভোট দিতে যাবে, এটা কী কথা বলছে তৃণমূল? সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাবে৷ সিআরপিএফ দেখবে অবাধ ও সুষ্ঠ ভোট হচ্ছে কিনা৷ সে কারণেই নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এনেছে৷ তৃণমূলের ছাপ্পা ভোট বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই আজকে রবীন্দ্রনাথবাবুরা এই জায়গায় পৌঁছেছেন৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন সিআরপিএফ-কে ঘিরে ফেলো৷ ঠিক মাওবাদীরা যে ভাবে বলে আধা সামরিক বাহিনীকে খতম করো৷ সেই সুরই শোনা যাচ্ছে৷ শুধু খতম করার আগে পর্যন্ত বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর রবীন্দ্রনাথবাবু লাঠি হাতে ভোট দিতে যেতে বললেন৷ ওঁনারা কি রক্ত গঙ্গা বওয়াতে চাইছেন?’’