নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জের, সরানো হল মুখ্যমন্ত্রীর OSD-কে

নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জের, সরানো হল মুখ্যমন্ত্রীর OSD-কে

7444334a007a2164611a6bf2f2ee4055

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হল। সরানো হয়েছে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অশোক চক্রবর্তীকে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উনি আগে আরপিএফএ ছিলেন ডেপুটেশনে, অবসর নেওযার পর মুখঅযমন্ত্রীর ওএসডি হিসাবে দায়িত্ব পান। নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারের সময় মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনার জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর এই ঘটনার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণণূল সুপ্রিমো৷ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর উপর আঘাত হানা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি৷ অভিযোগ জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও৷ এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ গত এক মাস ধরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা৷ একদিকে তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনা ষড়যন্ত্র৷ অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের বক্তব্য এটা নিছকই দুর্ঘটনা৷ এমনকী এই ঘটনার পর শিশির অধিকারী বলেছেলেন, ওঁর কাছে একটা পিঁপড়েও যায়নি৷ আবার গোটা বিষয়টি ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী৷ ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী৷ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তিন আইনজীবী৷ কিন্তু শুক্রবার মামলার শুনানির সময় তাঁদের  আবেদন খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে নেতৃত্বধীন ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পর তাঁকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানেই তাঁর পায়ে প্লাস্টার করেন চিকিৎসকরা৷ জানা গিয়েছে, চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলেও, তিনি তা শোনেননি৷ নেমে পড়ে ব্যাটেল গ্রাউন্ডে৷ মমতার দাবি ছিল, ইচ্ছাকৃতভাবে চার-পাঁচজন মিলে তাঁকে ধাক্কা দিয়েছে৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আগেই খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *