কলকাতা: শীতলকুচি নিয়ে উত্তপ্ত বাংলা৷ তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা৷ চলছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা৷ বিজেপি’র দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মমতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের জেরেই এই ঘটনা৷ অন্যদিকে, আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষ ও অমিত শাহকে দুষল তৃণমূল৷
আরও পড়ুন- ক্ষমতায় এলেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান, CAA নিয়ে মমতাকে একহাত শাহের
এদিন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, মোদী-অমিত শাহ জুটি বাংলার ভোটারদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে৷ অমিত শাহের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী কোচবিহারের শীতলকুচিতে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে গণহত্যা করেছে৷ এ প্রসঙ্গে তাঁদের সাফাই, সেখানে একটি বুথে নাকি গণ্ডগোল হয়েছিল৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বলেন, অশান্তি রুখতে কেন লাঠি চার্জ করা হল না? কেন কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হল না? ভোটারদের ক্লোস রেঞ্জ থেকে গুলি চালানোর অধিকার কে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে? এই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ কোথায়? তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রতি বুথের ভিতরে ও বাইরে সিসিটিভি থাকার কথা৷ অথচ এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও এই ঘটনার ফুটেজ কোনও সংবাদমাধ্যমে দেখানো হল না কেন?
বোমা ফাটিয়ে তিনি আরও বলেন, তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য বিজেপি’র আইটি সেল তাদের ফ্যাক্টারিতে কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ তৈরি করে হয়তো বাজারে আনতে পারে৷ এর আগেও বিদেশের ঘটনাকে আমাদের দেশের বলে দিনের পর দিন চালানোর চেষ্টা করেছে বিজেপি৷ কমিশন বা রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকেও বা কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ দেখানো হল না কেন? সিসিটিভি কি ছিল না? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ তাঁর কথায়, তাহলেও সেখানে নিয়মের ব্যতিক্রম হয়েছে৷ বলা হয়েছিল ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হবে৷ তার কি হল? এই ঘটনায় প্রথম ২৪ ঘণ্টায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি অমিত শাহ৷ ২৪ ঘণ্টা পর মিথ্যাচার শুরু করেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর উপর দোষারোপ করছেন৷ বলছেন, শীতলকুচিতে চারজনের কথা বললেও একজনের কথা বলছেন না তিনি৷ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে৷ অমিত শাহ জেনে বুঝে মিথ্যে কথা বলছেন৷ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷
আরও পড়ুন- শীতলকুচিকাণ্ডের প্রতিবাদ বিশিষ্টজনদের, ধর্মতলায় শামিল কবীর সুমন
অন্যদিকে, আজ দিলীপ ঘোষ একটি জনসভায় হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, বাংলায় আগামী দিনে আরও শীতলকুচির মতো ঘটনা ঘটবে৷ তাঁর এই ফ্যাসিস্ট ও খুনি আচরণের বিরুদ্ধে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তৃণমূল৷ পাশাপাশি অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতেও আজ সারা বাংলায় ১১ হাজার ৭০০টি মিছিল করেছে তৃণমূল কর্মীরা৷ রাজ্যজুড়ে তাঁদের বিরুদ্ধে এই দাবি উঠেছে৷