বর্ধমান: চার দফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে বাংলার বিধানসভায়। আর চার দফা নির্বাচন বাকি এবং আগামী ২ মে নির্বাচনের ফলাফল। তবে তার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্য সফরে এসে কার্যত ঘোষণা করে দিলেন যে প্রথম চার দফায় বাংলায় বিজেপির আসন ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে। এদিন বর্ধমানের সভা থেকে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেন, ‘বিজেপির আসনের সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে বাংলায়’।
মোদীর বক্তব্য, বাংলা থেকে যে একবার যায় সে কখনো ফিরে আসে না। কংগ্রেস চলে গিয়েছে আর ফিরে আসেনি, বামফ্রন্ট চলে গিয়েছে, সেও আর ফিরে আসবে না। এখন তৃণমূল কংগ্রেস ফিরে যাওয়ার পালা। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব ভালো করে জানেন তাই জন্য তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। মোদীর কথায়, প্রথম চার দফা নির্বাচনে বাংলার মানুষ এত ছয় আর চার মেরেছেন যে বিজেপির আসনের সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। এটা বুঝতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো বেশি রাগ হচ্ছে। বাংলার মানুষ মমতাকে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছেন বলে কটাক্ষ করেছেন নমো। আত্মবিশ্বাসের সুরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, চার দফায় ভোটে তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। দিদি আপনাদের সঙ্গে খেলার কথা বলেছিলেন। দিদির সঙ্গে খেলা হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিন শেষ।
বর্ধমানের সবথেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরো বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মা-মাটি-মানুষের সরকার বলে, কিন্তু তাদের লক্ষ্য হল, মাকে কষ্ট দেওয়া, মাটি লুট করা আর মানুষের রক্ত বইয়ে দেওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে আর কত মানুষের প্রাণ যাবে বাংলায় সেই প্রশ্ন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। একেইসঙ্গে কোচবিহার প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, ”কোচবিহারে যা হয়েছে, তা দিদির মাস্টারপ্ল্যান”। উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীর মতো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই চার দফা নির্বাচনের আবহে একাধিকবার দাবি করেছেন যে বাংলায় বিজেপি সরকার গড়ছে এবং ২০০ আসনের বেশি পাবে গেরুয়া শিবির।