কঙ্গো: খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের জীবন বড়ই ঝুঁকির। ভূ-গর্ভে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাস থেকে বিষক্রিয়া থেকে শুরু করে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু, ঘটতে পারে নানা দুর্ঘটনা। ফের সেরকমই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জনের। ডেমোক্রাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্ব দিকে কামিটুগা নামক এক অঞ্চলে সোনার খনিতে ধস নেমে এই দুর্ঘটনা বলে জানা গেছে।
গতকাল ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ ধস নামে বলে খবর। স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে জানানো হয়েছে, সেই সময় ভেতরে বহু খনিশ্রমিক কাজ করছিলেন। তাঁরা কেউ বেরতে পারেননি। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০টি তরতাজা প্রাণের। এই ঘটনার পর শয়ে শয়ে মানুষ এসে সোনার খনির প্রবেশ পথে এসে জড়ো হন। এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি এমিলিয়ানে এটোঙ্গা।
কঙ্গোয় খনিতে ধস নেমে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। প্রতি বছরই ডজন ডজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গত ২০১৯ অক্টোবরে একটি অব্যবহৃত সোনার খনিতে ধস নেমে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। সে বছরেরই জুন মাসে তামা এবং কোবাল্ট খনিতে চোরাগোপ্তা খনন করতে গিয়ে ধস নেমে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে মানুষের জীবনের নিশ্চয়তা কতটা ‘সুরক্ষিত’ তা এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে দেয়।