আরও পিছিয়ে যাবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা? কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?

আরও পিছিয়ে যাবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা? কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?

নয়াদিল্লি: ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠা পরিস্থিতির জেরে বাতিল করা হল ২০২১ সালের দশম শ্রেণির সিবিএসসি বোর্ড পরীক্ষা৷ স্থগিত করা হল দ্বাদশ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক৷ আগামী ১ জুন পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি৷ দিল্লি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কী হবে বাংলার মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ভবিষ্যৎ? পিছিয়ে যাবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা? বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কী ভাবে বোর্ড পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন পোখরিয়াল৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরাও৷ এই বৈঠকের পর পোখরিয়াল জানান, পড়ুয়াদের সুস্থতার উপরেই সবথেকে বেশি জোড় দিতে চান প্রাধনমন্ত্রী৷ তাদের কথা ভেবেই বাতিল করা হচ্ছে দশমের বোর্ড পরীক্ষা৷  দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ক্লাস অ্যাসেসমেন্টের উপর ভিত্তি করেই রেজাল্ট ঘোষণা করা হবে৷  যে ভাবে আগের বছর করা হয়েছিল৷ তবে এবার নয়া গাইডলাইন তৈরি করে দেবে শিক্ষা মন্ত্রক৷ বলা হয়েছে, যদি কোনও পড়ুয়া তাঁর নম্বর নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে তাকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে৷ তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর৷  তবে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা হবে৷  তবে করেনা পরিস্থিতির জেরে আপাতত সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিবিএসসি বোর্ডের মতো কি মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিনক্ষণ পরিবর্তন হবে? পরিস্থিতির উপর নজর রেখে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘আমরা চিন্তাভাবনা করে আগে থেকেই পরীক্ষার জুন মাসে নিয়ে গিয়েছি৷ জীবাণুমুক্তকরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সমস্ত নিয়মকানুন আমরা বিভিন্নস্তরে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছি৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকরা একাধিকবার বৈঠক করেছেন৷ আমরা বহু আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভোটের পর জুন মাসে আমরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা গ্রহণ করব৷ আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে চলে গিয়েছে পরীক্ষা৷’’

পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘‘যখন এখন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব৷ কারণ স্বাস্থ্য আগে৷ ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে বছর নষ্ট না হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে৷ পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যতের মাঝামাঝি থেকেই একটি সমাধান সূত্র বের করতে হবে৷ যদিও, আমরা পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে আগে থেকেই৷ এরপরেও যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 12 =