করোনাতেও ৮ দফা ভোট চায় কমিশন, তীব্র বিরোধিতা মমতার

করোনাতেও ৮ দফা ভোট চায় কমিশন, তীব্র বিরোধিতা মমতার

কলকাতা: দেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে শেষ তিন দফার নির্বাচন হয়তো একদিনে হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছিল আগামী ২৪ এপ্রিল রাজ্যের ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম দফার ভোট সম্পন্ন হবে। তবে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে একদিনে নির্বাচন করানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতে তিনি টুইট করে ৮ দফা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৮ দফা নির্বাচন করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধিতা করছি আমরা। বর্তমানে ব্যাপকভাবে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাই আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাচ্ছি শেষ দফার নির্বাচনে একদিনে করার সিদ্ধান্ত নিতে। এর ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে মানুষের।” এদিকে, কোভিড পরিস্থিতি এবং রাজ্যের নির্বাচন এখন ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে? তিন দফা ভোট এক দফায় করলেই বা তৃণমূল কী অবস্থান নেবে? এবিপি আনন্দে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই সকল প্রশ্নের জবাব দিয়ে মমতা বলেন, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে সহ বিভিন্ন রাজ্যে হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে৷ এর মধ্যে বাইরে থেকে লোক আসছে বাংলায়৷ বিজেপি’র হয়ে টাকা বিলোতে বা বিজেপি’র হয়ে বিভিন্ন কাজ করতে৷ এর জন্য আমাদের ভবিষ্যতে ভুগতে হবে৷ 

 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবস্থান প্রথম থেকেই অত্যন্ত স্পষ্ট৷ প্রথম থেকেই আমরা বলেছিলাম বাংলায় ৮ দফা ভোট করার কোনও প্রয়োজন নেই৷ এটা বাংলার অসম্মান৷ অসমে তিন দফা, কেরল-তামিলনাড়ুতে ১ দফায় ভোট হলে বাংলায় কেন ৮ দফা ভোট হবে? বিজেপি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পরিকল্পনা করে মণ্ডল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আট দফা ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে ভোটের দফা পরিবর্তন করার কোনো রকম পরিকল্পনা তাদের নেই। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক নির্ধারিত দফা মেনেই হবে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। এক সর্ব ভারতীয় সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, আগামীকালের সর্বদলীয় বৈঠকের নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের করোনাভাইরাস বিধি আরো কঠোরভাবে মানার পরামর্শ দেবে এবং নিয়ম ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নিদান দেওয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − fifteen =