কলকাতা: চার দফার নির্বাচনের পর আজ ছিল পঞ্চম দফার নির্বাচন। বিগত দফা গুলির মতো এদিনও সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ে রাজ্য জুড়ে। পঞ্চম দফাতেও গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। শীতলকুচির পর আজ দেগঙ্গায়। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হননি। জমায়েত ঠেকাতে গুলি চালানো হয় বলে জানা যায়। যদিও গুলি চলেনি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, তৃণমূল-বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যমগ্রাম ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সর্দার পাড়া ৬৫ নম্বর বুথ এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে চলে মারপিট।
ভোট চলাকালীন অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গয়েশপুর। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে গয়েশপুরে তুমুল বিক্ষোভের পর হামলা চালানো হল পার্থ ওরফে পিন্টু হাজরা নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে৷ যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি অত্যাচার চালানো হল তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর৷ চার-পাঁচ জন মিলে লাথি মেরে ভেঙে ফেলা হল ঘরের দরজা৷ অকথ্যা গালিগালিজ করা হল বৃদ্ধ বাবা-মাকে৷ এদিকে, কামারহাটিতে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর গাড়িতে হামলার অভিযোগ৷ গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা, ইট৷ গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে৷ বেলঘড়িয়া ব্রিজের উপর তিনি আক্রান্ত হন৷ হাতে চোট পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল৷
বহিরাগত ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়ায় পানিহাটিতে। বিজেপি প্রার্থীকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বহিরাগতদের এনে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেস এবং কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট চললেও হঠাৎ কিছু বহিরাগতদের নিয়ে এসে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন পানিহাটির বিজেপি প্রার্থী সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আবার উত্তাপ ছড়ায় আজ, ভোটের দিন। এবার বর্ধমান দক্ষিণে। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী কিছু বহিরাগতদের এনে বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। মহিলারা সেই ব্যাপারে রুখে দাঁড়ানোয় কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের ‘মারধর’ করে! এমনকি ‘লাশ ফেলে দেব’ বলে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন ঐ মহিলারা।