ট্রাম্পের পর এবার নোবেল শান্তি পুরষ্কারের তালিকায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন

বৃহস্পতিবার পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ সাংবাদিক বৈঠকে জানান, নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করেছেন বিখ্যাত রুশ লেখক সের্গেই কোমকভ। গত ১০ সেপ্টেম্বর সের্গেই কোমকভ পুতিনের নাম প্রস্তাব করে নোবেল কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়। তাদের মতে, সমগ্র বিশ্বে সার্বিক শান্তি স্থাপনে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা নেতানিয়াহু'র থেকে অনেক বেশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।

 

নিউ ইয়র্ক: নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনিত হয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তবে এখনও পর্যন্ত ক্রেমলিন থেকে রুশ প্রেসিডেন্টের নাম নোবেল কমিটির কাছে পাঠানো হয়নি৷ রাশিয়ার বার্তাসংস্থা তাস পুতিনের মনোনয়নের খবর প্রকাশ্যে এনেছে। বিখ্যাত রুশ লেখক সের্গেই কোমকভের নেতৃত্বে লেখকদের সংগঠন পুতিনের নাম নোবেল শান্তি কমিটির কাছে পাঠিয়েছে বলে খবর৷

শেয়ানে শেয়ানে লড়াই, তবে রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ নয়, শান্তি পুরষ্কার অর্জনের লড়াই। বৃহস্পতিবার পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ সাংবাদিক বৈঠকে জানান, নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করেছেন বিখ্যাত রুশ লেখক সের্গেই কোমকভ। গত ১০ সেপ্টেম্বর সের্গেই কোমকভ পুতিনের নাম প্রস্তাব করে নোবেল কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়। তাদের মতে, সমগ্র বিশ্বে সার্বিক শান্তি স্থাপনে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা নেতানিয়াহু’র থেকে অনেক বেশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ২০১৩ সালেও নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেও পুরষ্কার পাননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। 

নিয়মানুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মেনে যে কোনও ব্যক্তি অন্য কাউকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নোবেল কমিটির কাছে নাম পাঠানো যায়। এবছরে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য ইতিমধ্যেই ৩০০ জনের আবেদন জমা পড়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ইজরায়েল মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথ প্রশস্ত করা ও দুই দেশের মধ্যে চুক্তিতে মধ্যাস্থতা করার জন্য ২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম মনোনীত করা হয়েছে। অন্যদিকে এই বিষয়ের নেপথ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু’র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকায় তাঁকেও মনোনীত করা হয়েছে।

সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সাফল্য, গবেষণা-উদ্ভাবন এবং মানব-কল্যাণ মূলক কাজের জন্য ১৯০১ সাল থেকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়া শুরু হয়। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি মোট ৬টি বিভাগে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এই পুরষ্কারকে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কার হিসাবে গণ্য করা হয়। ২০০৯ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এবার পালা ট্রাম্প, নেতানিয়াহু ও পুতিনের। সবশেষে সেরার সেরা কে নির্বাচিত হন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *