মালদহ: খোলাবাজারে ভ্যাকসিন বিক্রি করা হবে এই ঘোষণার আগেই করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনের কত দাম হবে খোলা বাজারে। ভ্যাকসিনের দাম বাড়ানো হয়েছে রাজ্য সরকারের জন্য এবং সেই প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন এই বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখবেন।
এদিন মালদহে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভ্যাকসিনের দাম প্রসঙ্গ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি দেখেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এবং রাজ্য সরকারকে ৪০০ টাকায়। কেন রাজ্য সরকার বেশি দাম দিয়ে ভ্যাকসিন কিভাবে সেই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই সঙ্গে এই ব্যাপারে চিঠি লেখার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার প্রশ্ন, “এখন কি ব্যবসা করার সময় না লোক বাঁচানোর সময়?” এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার এবং একইসঙ্গে যাতে অক্সিজেনের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। মমতা আরো জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ১ কোটি মানুষ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন। জানান এই মুহূর্তে ১১ হাজার বেড রয়েছে, সেটা আগামী দু-একদিনের মধ্যেই ১৩ হাজার হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে সেফ হোমের সংখ্যা। একই সঙ্গে অক্সিজেনের চাহিদা যে পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে সেই দিকে নজর দিয়ে মমতা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে যাতে অক্সিজেনের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই ব্যাপারে আলাদা নজর দিতে হবে। এমন যেন পরিস্থিতি না হয় যে, যে যেমন খুশি ইচ্ছা দাম নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার এসএসআই একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ কেনার জন্য রাজ্য সরকারকে খরচ করতে হবে ৪০০ টাকা। বেসরকারী হাসপাতালগুলি সেই টিকা পাবে ৬০০ টাকায়। তবে টিকা চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকায় প্রতি ডোজ টিকা দিচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট। মঙ্গলবার ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে ৭০০ ডোজ টিকা তৈরি করবে ভারতের সংস্থাগুলি যা ৬০টি দেশে রপ্তানি করা হবে। বিদেশের বাজারে ভারতীয় টিকার দাম নির্ধারিত হয়েছে প্রতি ডোজ ১৫ থেকে ২০ ডলার।