নিউ ইয়র্ক: ফের হোয়াইট হাউজে করোনার থাবা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা হোপ হিকস। সম্প্রতি করোনা পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নির্বাচনের প্রস্তুতির সময় এমন একটি খবরে চিন্তার ছাপ টিম ট্রাম্পের কপালে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে। হিকস এয়ার ফোর্স ওয়ান-তে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিয়মিত ভ্রমণ করেন এবং অন্যান্য সিনিয়র সহযোগীদের সঙ্গেও এই সপ্তাহের শুরুতে প্রশাসনিক কথাবার্তার জন্য তিনি ক্লেভল্যান্ডে যান। তাই হিকসের করোনা ধরা পড়ার পর থেকেই চিন্তায় রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। হোয়াইট হাউসের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে “ট্রাম্প নিজের এবং আমেরিকান জনগণের সমর্থনে যারা কাজ করেন তাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন।” করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় গাইডলাইন মেনেই তাই কাজ করছেন তিনি। এবং সবার স্বাস্থ্যের দিকে খেয়ালও রাখছেন। তবে হিকস করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ডোনাল্ট ট্রাম্পের করোনা পরীক্ষা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভোটারদের সতর্ক করতে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জনপ্রতিনিধিদের
এই বছরের শুরুতে বেসরকারী খাতের এক আধিকারিকের পরে হিকস হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন। তিনি এর আগে হোয়াইট হাউস যোগাযোগ পরিচালক এবং ট্রাম্পের ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি প্রচারের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করেছিলেন। ফলে এ বছর নির্বাচনের আগে তাঁর করোনা হওয়ায় নির্বাচনের আগে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তা দেখা গিয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় নির্বাচন। তার আগে হিকস সুস্থ হয়ে কাজে ফিরুন, চাইছে টিম ট্রাম্প।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তে আসেনি আমেরিকায়। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন ট্রাম্প। কিছুদিন আগে টাউন হলে প্রশ্নোত্তর পর্বে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা ভ্যাকসিন তৈরির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের হাতে ভ্যাকসিন চলে আসবে৷ খুব বেশি হলে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে৷’’ যদিও ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডেমোক্র্যাটরা৷ তাঁদের দাবি, আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় নির্বাচন৷ ভোটের আগে চমক দিতে কোটি কোটি মানুষের জীবন সংকটের মধ্যে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প৷ জো বাইডেনকে কড়া টক্কর দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বিজ্ঞানীদের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছেন তিনি৷ কারণ আমেরিকার শীর্ষ স্থানীয় এক চিকিৎসক অ্যান্টনি ফৌসির কথায়, ভ্যাক্সিনের অনুমোদন পেতে এই বছরের শেষ প্রান্ত হয়ে যাবে৷