কলকাতা: এবার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট থাকলেই মিলবে অক্সিজেন৷ শুধুমাত্র চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থাকলেই অক্সিজেন নয়৷ নবান্নে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷
আরও পড়ুন- আরও কড়া কমিশন! ৩৯ প্রার্থীর নামে FIR, ৮৯ জনকে শোকজ
শনিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ইন্টিগ্রেটেড কোভিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হল৷ এর মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হল৷ যার সাহায্যে গোটা রাজ্যের হাসপাতালগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখা যাবে৷ এছাড়াও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অক্সিজেনের জোগান৷ যদিও এ কথা মানতে নারাজ রাজ্য সরকার৷ এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, বর্তমানে রাজ্যে প্রতিদিন ২২৩ মেট্রিকটন অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে৷ উৎপাদন হচ্ছে ৪৯৭ মেট্রিকটন অক্সিজেন৷ যদিও এর একটা অংশ কেন্দ্র নিয়ে যাচ্ছে৷ তা সত্বেও কোনও ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবারের লোকজন অক্সিজেন পাচ্ছেন না বলে বারবার অভিযোগ উঠছে৷ ওষুধ বা অক্সিজেনের দোকানগুলিতে যে অক্সিজেন রয়েছে, সেখান থেকে মিলছে না অক্সিজেনের সিলিন্ডার৷ তার প্রেক্ষিতে বলা হয়, কোনও চিকিৎসকের প্রিসক্রিপসন নিয়ে অক্সিজেন কিনতে যেতে হবে না৷ দোকানদাররা কোভিড সার্টিফিকেট দেখেই অক্সিজেন দেবে৷ ফলে প্রয়োজন মতো কোভিড রোগীরা দোকান থেকে অক্সিজেন কিনতে পারবেন৷
আরও পড়ুন- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা? বৈঠকে কমিশন
এছাড়াও রাজ্যের যে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রয়েছে তাতে ৬০ শতাংশ বেড কোভিডের জন্য রাখতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি বলা হয়েছে, কোভিড আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে বিনা পয়সায় তাঁর সৎকার করা হবে৷ সেই দায়িত্ব নিচ্ছে সরকার৷ মৃতদেহ সৎকার নিয়ে প্রভূত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ নবান্নে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব এইচকে দ্বিবেদী এবং পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব ও আধিকারিকরা৷ ওই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত৷