খোলা বাজারে আর মিলবে না রেমডেসিভির, নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

খোলা বাজারে আর মিলবে না রেমডেসিভির, নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

কলকাতা:  খোলা বাজারে আর নয়। শুধুমাত্র হাসপাতাল থেকেই এবার মিলবে রেমডেসিভির। কারণ সব করোনা রোগীর জন্য রেমডেসিভির নয়। এমনই নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের৷ 

আরও পড়ুন- করোনা পজেটিভ রিপোর্টেই মিলবে অক্সিজেন, বিনা পয়সায় সৎকারের দায়িত্ব সরকারের

রেমডেসিভির নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর একটি নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করেছে৷ যে গাইডলাইনে নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য রেমডেসিভির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই৷ ১০ থেকে ২০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেমডেসিভির-এর প্রয়োজন রয়েছে৷ এই ওষুধ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কেস টু কেস বিচার করে দেখতে হবে৷ এছাড়াও কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোম প্রেসক্রিপশনে রেমডেসিভির লিখে ছেড়ে দিতে পারবে না৷ বরং হাসপাতাসকেই চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভির জোগাড় করে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে৷ পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে সংক্রমিত হওয়ার ৫ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত রেমডেসিভির দেওয়া যেতে পারে রোগীকে৷ 

বেসরকারি ক্ষেত্রে রেমডেসিভির সরবরাহকারীদের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে, এই ওষুধ একমাত্র হাসপাতালেই সরবরাহ করতে হবে৷ খোলা বাজারে নয়৷ এর পাশাপাশি আরও একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ হাসপাতালে যে ভাবে রোগীদের ভিড় বাড়ছে তাতে কী ভাবে বেড খালি করা যায়, মেই মর্মে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে যাঁরা মৃদু উপসর্গ নিয়ে আসবেন, তাঁদের কোনও ভাবেই হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে না৷ মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে কোভিড কেয়ার সেন্টার অর্থাৎ সেফ হোম বা হোম আইসোলেশন এই দুই পন্থা অবলম্বন করতে হবে৷

আরও পড়ুন- আরও কড়া কমিশন! ৩৯ প্রার্থীর নামে FIR, ৮৯ জনকে শোকজ

তবে যাঁরা মৃদু উপসর্গ নিয়ে আসবেন তাঁদের কো-মর্বিডিটি থাকলে বা বয়স ষাটোর্ধ্ব হলে তাঁদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা যেতে পারে৷  সেখানে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা যাবে তাঁদের৷ যাঁরা মডারেট উপসর্গ নিয়ে আসবেন, তাঁদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে অবজারভেশনে রাখতে হবে এবং তাঁদের অক্সিজেনের চাহিদা কী আছে সেটা দেখে নিতে হবে৷ সেখানে সর্বোচ্চ দশ দিন রাখা যাবে৷ আর সঙ্কটজনক অবস্থায় যাঁরা, আসবেন তাঁদের রিোপর্ট যতদিন না পর্যন্ত নেগেটিভ হচ্ছে, ততদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া যাবে না৷ এই গাইডলাইন মেনেই চলতে হবে সরকারি বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালকে৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 17 =