বীরভূম: দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাড়লেন না নির্বাচন কমিশনকেও। উগরে দিলেন যাবতীয় ক্ষোভ। বোলপুরের ভার্চুয়াল সভায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নির্বাচনের সময় নজরবন্দি করে রাখা নিয়েও গর্জে উঠলেন মমতা। ফের নজরবন্দি করলে ‘কেষ্ট’কে আদালতে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
কোভিড বিধি মেনে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট প্রচার নিয়ে জারি হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। তাই বীরভূমের জনসভা বাতিল করে ভার্চুয়াল সভা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বোলপুরের সভায় দেশের বাড়ন্ত কোভিড ভয়াবহতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি। বললেন, “দিল্লিতে একটা হাসপাতালেই অক্সিজেনের অভাবে ২১ জন একসাথে মারা গেছে। শুধুমাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে। এতদিন পরে বলছে আত্মনির্ভর ভারত। অক্সিজেন নেই, ভ্যাকসিন নেই, ওষুধ নেই, হাসপাতালে বেড নেই। শুধুমাত্র বাংলাকে লুঠ করতে গিয়ে সারা ভারতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে দেশের এই অবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।”
বোলপুরের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম থেকে ভার্চুয়াল সভা করে নির্বাচন কমিশনকেও তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা। বললেন, “এবারে নির্বাচন কমিশনের এত জেদ কিসের? প্রচার বন্ধ করে দিলেন আপনারা। কেন? প্রধানমন্ত্রীর সভা নেই বলে? অমিত শাহের সভায় লোক নেই বলে? নির্বাচনও করবেন, প্রচারও করতে দেবেন না। আর জেদ করে ৮টা দফাতেই ভোট করবেন। কি এত মধু আছে?” অন্যদিকে, প্রত্যেক নির্বাচনে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে রাখা নিয়ে মমতা বললেন, “কেষ্টর উপর ওদের খুব রাগ। প্রত্যেক নির্বাচনে নজরবন্দি করে রাখে। কাউকে নজরবন্দি করে রাখা বেআইনি। এবারে যদি করে আদালতে যাবে কেষ্ট। এভাবে নজরবন্দি করে রাখা যায় না।”